নুসরাত-মিমির সেই ছবি নিয়ে যা বললেন স্বস্তিকা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ মে ২০১৯ ১০:৪২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯৭ বার।

পশ্চিমা ঢংয়ের পোশাক পরে সংসদ ভবনে গিয়ে সমালোচিত পশ্চিমবঙ্গের দুই নারী এমপি নুসরাত ফারিয়া ও মিমি চক্রবর্তীর পাশে দাঁড়িয়েছেন আরেক অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নবনির্বাচিত এ দুই নারী এমপির সমালোচকদের এক হাত নিয়েছেন স্বস্তিকা। খবর এনডিটিভির।

স্বস্তিকা মিমি-নুসরাতের সংসদের সামনে তোলা ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘বেশ করেছে পার্লামেন্টের সামনে ছবি তুলেছে। আমরা শুতে, বসতে ছবি তুলি। আর এটা তো ওদের জীবনে বড় একটা দিন। ওরা নির্বাচনে জিতেছে। মানুষ ওদের ভোট দিয়েছেন। ফলে ওরা ওখানে যাওয়ার অধিকারী। সংসদে জিনস পরে যাওয়া যাবে না, এমন কোনো নিয়ম নেই। সুতরাং সব জিনিসে সমস্যা দেখাটা বন্ধ করুন।’

মিমি বা নুসরাত- কেউই অবশ্য ট্রোলের পাত্তা দেননি। নুসরাত জানিয়েছেন, এর আগেও ট্রোলড হয়েছেন। তবে সেসবে মন দেননি। আর মিমির মতে, বেশিরভাগ মানুষ তাকে ভালোবাসে। তাদের সমর্থন রয়েছে তার সঙ্গে। সেই আশীর্বাদ নিয়েই এগিয়ে যেতে চান।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, সোমবার দুপুর ১টার দিকে দেশটির সংসদ ভবনে পৌঁছান নুসরাত ও মিমি। প্রথমেই তারা সংসদ ভবনের ৬২ নম্বর ঘরে গেছেন।

সেখানে নতুন সংসদ সদস্যদের নাম-ঠিকানা, ফোন নম্বর ও দিল্লির অস্থায়ী ঠিকানাসহ বেশ কিছু প্রাথমিক তথ্য দিতে হয়। এসব কাজ শেষ করার পর এদিনই কলকাতায় ফেরার জন্য সন্ধ্যার বিমান ধরেন মিমি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংসদ ভবনের সামনে নিজের ছবি শেয়ার করে নুসরাত ক্যাপশনে লেখেন- 'নতুন শুরু। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সব মানুষকে আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।'

অন্যদিকে মিমি নিজের ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন- 'স্বপ্নের কথা মনে রাখ এবং তার জন্য লড়াই কর।'

টালিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী টপ ও প্যান্ট পরে সোমবার সংসদ ভবনে যান, যা নিয়ে অনেকেই আপত্তি তোলেন। তাদের দাবি- নুসরাত ও মিমি সংসদে ‘উপযুক্ত পোশাক' পরে আসেননি।

এর সমালোচনা করে এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন- ‘সংসদ কোনো ফটো স্টুডিও না।' আবার মিমিকে লক্ষ্য করে আর একজন বলেন, ‘উনি এই পদের যোগ্য না।'

অন্যদিকে অনেকে আবার তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। একজন নুসরাতকে তার পোশাকের জন্য প্রশংসা করেছেন। অন্য একজন দুজনকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে তাদের উৎসাহ দিয়ে বলেন ‘সিংহীর মতো’ কাজ করতে।

৩০ বছরের মিমি কলকাতার যাদবপুর কেন্দ্রে জয়লাভ করেন প্রায় ৩ লাখ ভোটে। আর ২৮ বছরের নুসরাত জাহান বসিরহাট থেকে সাড়ে ৩ লাখ ভোটে জয়লাভ করেন। দুই কেন্দ্র থেকেই ২০১৪ সালে তৃণমূল জিতেছিল ১ লাখ ৩০ হাজারেরও কম ভোটে।