পৌরসভা নির্বাচনে বাজিমাত সেই কংগ্রেসের!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০১৯ ০৫:০৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২০৮ বার।

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস। ব্যতিক্রম হয়নি কর্নাটক রাজ্যের ক্ষেত্রেও। এখানে ২৮ আসনের মধ্যে ২৫টি গেছে গেরুয়া শিবিরের দখলে। ভোটের হার ৫১ শতাংশ।

কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই শহরাঞ্চলের স্থানীয় নির্বাচনে মিলল উল্টো ফল। বিজেপিকে অনেকটা পেছনে ফেল বড়সড় জয় পেল কংগ্রেস।

ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, অধিকাংশ পৌরসভা, শহর পঞ্চায়েত এবং টাউন কাউন্সিলে জয় পেয়েছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট।

কর্নাটকের বিভিন্ন স্তরের পৌরসভার মোট ১,৩৬১ আসনে নির্বাচন হয়েছিল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই আসনগুলোর মধ্যে প্রায় ৪২ শতাংশ গেছে কংগ্রেসের দখলে। পাঞ্জা শিবির দখল করেছে ৫০৯টি আসন।

অনেকটা পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দখলে ৩৬৬টি ওয়ার্ড। অন্যদিকে, জেডিএসের দখলে ১৭৪টি ওয়ার্ড। ১৬০টি আসন গেছে নির্দলীয়দের খাতায়।

রাজ্যে জোট থাকলেও স্থানীয় নির্বাচনে আলাদা লড়েছিল কংগ্রেস-জেডিএস। তবে, বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে ফের জোট বাঁধছে এই দুই দল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোট আটটি শহর মিউনিসিপ্যালিটির মধ্যে পাঁচটি যাচ্ছে কংগ্রেস-জেডিএসের দখলে, একটি বিজেপির দখলে, দুটি নির্ভর করছে নির্দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনের ওপর।

ছোট শহরের পৌরসভাগুলোর মধ্যে ২০টি গিয়েছে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের দখলে। অন্যদিকে বিজেপির দখলে মাত্র পাঁচটি। শহর পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপি আটটি জিতেছে, জোট জিতেছে সাতটি।

লোকসভা নির্বাচনের পর কর্নাটকে জোট সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। সরকারকে নড়বড়ে করার চেষ্টাও করে বিজেপি। কিন্তু, এরই মধ্যে পৌর নির্বাচনের এই আশাতীত ফল জোট শিবিরকে চাঙা করেছে।

কর্নাটক কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুণ্ডুরাও টুইটে বলেন, “লোকসভার ফল প্রকাশের পর কর্মীরা মুষড়ে পড়েছিল। কিন্তু এই ফলাফল তাদের চাঙা করবে।”

ফের ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলে দীনেশ বলেন, “এই ফলাফল অনেকটা অপ্রত্যাশিত। কারণ, ক’দিন আগেই লোকসভায় ৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। আজকের ফলাফলের পর সংবাদমাধ্যমে ইভিএম নিয়ে যে প্রশ্নগুলো উঠছিল, সেসব নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।”