এই ‘হিরো মন্ত্রী’র অতীত জানলে চমকে যাবেন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০১৯ ০৫:০৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩১ বার।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারে ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ওড়িশার প্রতাপ চন্দ্র সারেঙ্গি। শপথ নেওয়ার পরই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় তার সাদাসিধে জীবনের বেশকিছু ছবি।

এলোমেলো চুলের সারেঙ্গিকে দেখলে রাজনীতির লোক বলে মনে হবে না। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে তার লক্ষ লক্ষ ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। শহুরে জীবনের চাকচিক্য, বিলাস, সুবিধা থেকে তিনি অনেক দূরে। বালাসোরের এক ঝুপড়িবাড়িই তার স্থায়ী ঠিকানা।

দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করলেও একটা সাইকেল ছাড়া তার কোনো বাহন নেই। আর থাকার জায়গা বলতে খড়ে ছাওয়া একটা কুঁড়েঘর। ওড়িশার নীলগিরির গোপীনাথপুর গ্রামের এক গরিব পরিবারে ১৯৫৫ সালে জন্ম প্রতাপের।

লোকসভা নির্বাচনে ওড়িশার বালাসোর আসন থেকে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী প্রতাপ চন্দ্র সারঙ্গি। তার রাজ্যের মানুষ তাকে বলেন, ‘ওড়িশার মোদি’। বালাসোরে বিজু জনতা দলের প্রার্থী রবীন্দ্র কুমার জেনাকে তিনি হারিয়েছেন ১২ হাজার ৯৫৬ ভোটে।

স্থানীয়রা বলেন, তিনি শিব জ্ঞানে জীবের সেবা করেন। হতে চেয়েছিলেন সাধু। নরেন্দ্র মোদি যখনই ওড়িশায় যেতেন, তখনই সারঙ্গির সঙ্গে দেখা করতেন।

বিতর্কিত অতীত

বিবিসি জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিরো সারেঙ্গি ছিলেন হিন্দু মৌলবাদী সংগঠন বজরং দলের নেতা। তিনি যখন দলটির নেতা ছিলেন, তখন ওড়িশায় ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলীয় খ্রিস্টান মিশনারি গ্রাহাম স্টেইনস এবং তার দুই শিশুসন্তানকে গণপিটুনি দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

এই হত্যাকাণ্ডের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায় বজরং দলকে দায়ী করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার পর ২০০৩ সালে দারা সিং নামের একজন এবং আরও ১২ জনকে দোষীসাব্যস্ত করা হয়। কিন্তু দুই বছর পর ওড়িশা হাইকোর্ট দারা সিংয়ের মৃত্যুদণ্ডের সাজা লঘু করে। এছাড়া সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যাপ্ত নয় জানিয়ে ১১ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

খিস্টান মিশনারিগুলোর বিরুদ্ধে সাক্ষাৎকারে প্রায়শই ক্ষোভ প্রকাশ করতেন সারেঙ্গি। গোটা ভারতকে খৃস্টধর্মে দীক্ষিত করতে এসব মিশনারি ‘অশুভ চক্রান্তে’ লিপ্ত বলেও মনে করতেন তিনি।

এছাড়া ২০০২ সালে ওড়িশার বিধানসভায় বজরং দলসহ উগ্রপন্থী দলগুলোর হামলার ঘটনায় দাঙ্গা, অগ্নিসংযোগ, হামলা এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সারেঙ্গি।