মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রহ করবে শিক্ষার্থীরা, থাকবে ২০ নম্বর

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০১৯ ০৫:৩২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪১ বার।

মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য তথ্য সরেজমিন সংগ্রহ করবে সারাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীরা। আর এর জন্য বার্ষিক পরীক্ষায় বরাদ্দ থাকবে ২০ নম্বর। জাতীয় পর্যায়ে থাকবে পুরস্কার। স্থানীয় পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা, তথ্য, যুদ্ধের বিবরণ, শহিদদের তালিকা, বধ্যভূমির তালিকা ইত্যাদি তৈরি করবে। নেবে মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য। এরপর তৈরি করবে ভিডিও ডকুমেন্টারি। শিক্ষকদের হাতে থাকবে ২০ নম্বর। যা শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ফলাফলে যোগ হবে। পাইলটিং হিসেবে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এটি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক অধ্যাপক ড. সরকার আবদুল মান্নান বলেন, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা স্থানীয় পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য তথ্য সংগ্রহ করবে। এজন্য তাদের বাংলা বইয়ের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক অধ্যায় থেকে ২০ নম্বর বরাদ্দ দেওয়া হবে। তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদদের বাড়িতে গিয়ে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলবে। বধ্যভূমি এবং যুদ্ধের স্থান সরেজমিন দেখবে।

তিনি বলেন, সার্বিক তথ্য নিয়ে তারা ৫ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করবে। এ ডকুমেন্টারি দেখে শিক্ষকরা তাদের মূল্যায়ন করে নম্বর দেবেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীরা উপজেলা সদরে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে এসব ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করবে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে এসব ডকুমেন্টারির তথ্য যাচাই-বাছাই করবে তারা। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতা, শিক্ষক, উপজেলার বিশিষ্টজনদের নিয়ে গঠিত বাছাই কমিটি সেরা ডকুমেন্টারিগুলো বাছাই করে জেলা পর্যায়ে পাঠাবেন। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একই ধরনের কমিটি সেগুলো বিচার করে বিভাগীয় সদরে পাঠাবেন। জাতীয় পর্যায়ে সেগুলোর বিচার শেষে শ্রেষ্ঠ তিনটি ডকুমেন্টারিকে পুরস্কৃত করা হবে। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, এই কার্যক্রমের সহায়তা দেবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। জাদুঘরের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এরই মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। শিশু শিক্ষার্থীদের তৈরি করা ও পুরস্কার পাওয়া শ্রেষ্ঠ ডকুমেন্টারিগুলো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংরক্ষণ করবে। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, এ উদ্যোগের ফলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে, নিজেরা সত্যকে খুঁজে বের করতে পারবে এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি সংস্পর্শে আসতে পারবে। তারা নিজের দেশকে জানতে ও চিনতে পারবে, ফলে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে।