অবস্থান ও ঈদ একসঙ্গে করবে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০১৯ ০৫:৩৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১২ বার।

ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেয়ার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যে টানা সপ্তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতারা। দাবি আদায় না হলে একই স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এদিকে সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে ১৯ জন ‘বিতর্কিত’ নেতাকে বাদ দেয়া হয়েছে। ওই ১৯ জনের পদ শূন্য ঘোষণা করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তবে বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি থেকে বাদ পড়া ১৯ জনের নাম প্রকাশ করা হয়নি। নাম প্রকাশ না করার বিষয়টিকে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশ একে ‘নতুন একটি প্রহসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে পদবঞ্চিতরা একে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’, ‘চাতুরি’ ও ‘সুপরিকল্পিত অপরাজনীতি’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন। তবে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘পারিবারিক ও সামাজিক’ দিক বিবেচনায় কমিটি থেকে বাদ পড়া ‘বিতর্কিত’ ১৯ জন নেতার নাম প্রকাশ করবে না তারা। যাদের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের ব্যক্তিগতভাবে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের গত কমিটির উপ-দফতর সম্পাদক শেখ নকিবুল ইসলাম সুমন বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগ নেতারা আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা রক্ষা করা হয়নি। তাই সপ্তম দিনের মতো আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। দাবি আদায় না হলে এখানেই (রাজু ভাস্কর্য) আমরা ঈদ পালন করব।

সাবেক প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু বলেন, আমাদের দাবি যে যৌক্তিক তা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। কমিটিতে ১৯ জনের পদ শূন্য করা হয়েছে। কিন্তু তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া আরও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের পদ শূন্য করা হোক। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম হলো ছাত্রলীগকে বিতর্কমুক্ত করার সংগ্রাম। প্রধানমন্ত্রী এখন দেশের বাইরে আছেন। তিনি দেশে ফেরার পর তার সঙ্গে দেখা করে আমাদের অভিযোগগুলো উপস্থাপন করব।