রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ওআইসির সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০১৯ ০৬:৫৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৭ বার।

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বিষয়টি আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) উত্থাপন করার জন্য ওআইসি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের কাছ থেকে সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

শনিবার সৌদি আরবের সাফা প্রাসাদে ওআইসির ১৪তম ইসলামিক সম্মেলনে এ সমর্থন চান তিনি। খবর ইউএনবির

গত মার্চে আবুধাবিতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের (সিএফএম) সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের বিচার সম্পর্কিত ইস্যুটি  আন্তর্জাতিক বিচার  আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি নিয়ে আসার জন্য আমরা গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানাই। স্বেচ্ছায় তহবিল এবং কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে মামলাটি চালু করার জন্য সদস্য রাষ্ট্রসমূহের কাছে আবেদন করছি।’

সৌদি আরব মক্কায় ওআইসির ১৪তম ইসলামিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এবারের সম্মেলনের শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘মক্কা সামিট: টুগেদার ফর দ্য ফিউচার’।

শেখ হাসিনা বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু মিয়ানমার রাখাইন অঞ্চলে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরির প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় রোহিঙ্গাদের সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন এখনও অনিশ্চিত।

দারিদ্র্যকে এখনও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি মোকাবিলার জন্য যৌথ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ‘ওআইসি-২০১৫: কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিন দেশের সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চার দিনের জাপান ভ্রমণ শেষ করে শুক্রবার বিকেলে দ্বিতীয় গন্তব্য সৌদি আরব পৌঁছান।

তিনদিনের সৌদি আরব সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শনিবার মক্কায় ওআইসির ১৪তম ইসলামিক সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি পবিত্র ওমরা পালন এবং রোববার মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন। এরপর শেখ হাসিনা ৩ জুন ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে সৌদি আরব ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ৭ জুন পর্যন্ত থাকবেন।

১২ দিনব্যাপী তিন দেশ সফর শেষে ৮ জুন প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।