শেরপুরে মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার : গ্রেফতার ১

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুন ২০১৯ ১৪:০১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৮ বার।

বগুড়ার শেরপুরে মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ঘটনায় জামাল আহম্মেদ (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার (৩১মে) সকালে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামস্থ নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের হারুনার রশিদের ছেলে। পরে শুক্রবার বিকেলেই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরআগে ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রী বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শনিবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আমিনপুর গ্রামের কামাল মোস্তাফার মেয়ে ও স্থানীয় আমিনপুর দাখিল মাদ্রাসার ওই ছাত্রী গত সোমবার রাতে তারাবির নামাজের জন্য অযু করতে বাড়ির পেছনে টিউবওয়েলে যান। এসময় ওৎ পেঁতে থাকা জামাল আহম্মেদ ও তার আরেক সহযোগী শাহ জালাল ওই ছাত্রীর মুখ চেপে তুলে নিয়ে পাশে ফসলের খেতে যায়। এরপর জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা করে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করেন। তবে ওই দুই যুবক পালিয়ে যান। ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রী জানান, সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়ে যাওয়ার পর বাবার বাড়িতেই থাকতেন। পাশাপাশি স্থানীয় মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। কিন্তু কিছুদিন ধরে জামাল আহম্মেদ তাকে উত্যক্ত করতো। এমনকি নানা ধরণের প্রলোভন দিতে থাকে। এতে তিনি রাজী না হওয়ায় প্রাণনাশের হুমকিও দেন বখাটে জামাল। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার মূল অভিযুক্ত জামাল আহম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকারও করেছেন তিনি। এই মামলার আরেক অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।