বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি

ধুনট পৌরসভার সচিবকে দুুই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল

ধুনট উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০১৯ ১৬:১০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৪৬ বার।

বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে বগুড়ার ধুনট পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সোমবার সংস্থাটির সচিব শাহিনুর ইসলামকে প্রায় দুই ঘন্টা তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। সকাল ১১টা থেকে অবরুদ্ধ থাকা সচিবকে দুপুর ১টার দিকে উদ্ধার করেন মেয়র এজিএম বাদশা। 
ধুনট পৌরসভার কর কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, পৌরসভার নিজস্ব তেমন কোন আয় না থাকায় পৌরসভার ২২ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ৫ মাস ধরে বেতন-ভাতা বকেয়া পড়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে বেতনের অর্ধেক অংশ সরকারি রাজস্ব থেকে পরিশোধের দাবি জানানো হয়। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। ঈদের আগে বেতন ও বোনাস না পেয়ে কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন।
সংস্থাটির হিসাব শাখার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মেয়র ও কাউন্সিলদের বেতন-ভাতা ও সম্মানী প্রতিমাসে গড়ে প্রায় ৮লাখ টাকা প্রয়োজন হয়। নীতিমালা অনুযায়ী পৌরসভার রাজস্ব আয় থেকে শোধ করার কথা। কিন্তু পৌরসভার রাজস্ব আয় অত্যন্ত কম হওয়ায় দীর্ঘ ৫ মাস ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আর ৯ মাস ধরে মেয়র ও কাউন্সিলরদের সম্মানী প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। ঈদ এসে পড়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল ১১টার দিকে পৌরসভার সচিব আমিনুর ইসলামকে তার কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। প্রায় দুই ঘন্টা পর দুপুর ১টার দিকে মেয়র এজিএম বাদশা পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে সচিবকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন।
ধুনট পৌরসভার সচিব শাহিনুর ইসলাম বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি পেলেও পৌরসভার রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পায়নি। এতটাকা পরিশোধ করারমতো সামর্থ ধুনট পৌরসভার নেই। যার ফলে দিন দিন বকেয়া বেতন জমে যাচ্ছে। 
ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশাহ্ বলেন, দীর্ঘদিন যাবতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন ভাতা পাচ্ছে না। পৌরসভার নিজস্ব আয়ের তহবিলে তাদের বেতন পরিশোধের উপযোগী অর্থ নেই। বিষয়টি অত্যন্ত মানবিক