ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে পৃথিবী, প্রমাণ উপগ্রহ চিত্রে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০১৯ ১৪:৫৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩১৪ বার।

নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ। সেই গাছ হত্যার সাক্ষ্য দিচ্ছে বিভিন্ন জায়গার কালো গুঁড়িগুলো। আর এর ফলে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। দূষণেই থেমে নেই গাছ কাটার ফল। বাড়ছে সারা বিশ্বের উষ্ণতা। সেই সাথে কমছে বৃষ্টিপাতও। এক কথায় বলতে গেলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে ক্রমশ। সাইক্লোনের শক্তি বাড়ছে, বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তরও। 

দক্ষিণ এশিয়ায় এই উষ্ণায়নের প্রভাবের বাইরে নেই। ভারতের রাজস্থানের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি পেরিয়ে গেছে। ক্যারালায় যেখানে ১ জুনের মধ্যে বর্ষা শুরু হয়ে পড়ে, সেখানে ৫ তারিখেও বর্ষার দেখা নেই। হিমালয়ের অনেক নদী শুকিয়ে গেছে। মাত্রাতিরিক্তভাবে গলছে হিমবাহ। স্যাটেলাইট ক্যামেরায় ধরা পড়েছে পৃথিবীর আসন্ন ধ্বংসের সেই ছবি।

উষ্ণায়নের ফলে অনেক জায়গায় পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশের আলোচনা ক্ষেত্রে বহুবার এই কথাটা ওঠে এসেছে। কিন্তু প্রমাণ? সেটা দিয়েছে স্যাটেলাইট ইমেজ। মধ্য চিলির লেক অ্যাকুলিওর একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে হ্রদ একেবারে শুকিয়ে গিয়েছে। ছবিটি এ বছরের। ২০১৪ সালে যে ছবিটি নেওয়া হয়েছিল, তাতে হ্রদের জল কিছুটা হলেও ছিল। কিন্তু এবছর তা সম্পূর্ণ উধাও।

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির একটি স্যাটেলাইট ইমেজে আবার দেখা গিয়েছে অনেক এলাকার পার্ক খয়েরি রং ধারণ করেছে। সবুজভাব হারিয়েছে উদ্ভিদ জগৎ।

উষ্ণতা বাড়ার ফলে সুমেরুর বরফ গলতে শুরু করে দিয়েছে। খুব দ্রুতহারে গলছে বরফ। এর ফলে শৈল প্রাচীরের ঘনত্ব কমছে। আন্টার্কটিকার ব্রান্ট আইস সেল্ফ গত ৩৩ বছরে একটি পরিবর্তন এসেছে। স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা যাচ্ছে, বরফ ক্রমশ গলছে আন্টার্কটিকাতেও। এর মধ্যে অনেক জায়গার বরফ উধাও হয়ে গিয়েছে।

১৯৮৪ ও ২০১২ সালের মধ্যে সমুদ্রের অবস্থা অনেক বদলেছে। আর সবটাই হয়েছে উষ্ণায়নের প্রভাবে। ২০১২ সালে সবচেয়ে কম বরফ জমেছে সুমেরু মহাসাগরে। ১৯৭৯ সাল থেকে এত কম জায়গা সুমেরুর জমেনি যা ২০১২ সালে জমেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবার গরমে হয়তো সম্পূর্ণ সুমেরু মহাসাগরের বরফই উধাও হয়ে যাবে।

বিশ্ব উষ্ণায়ন ও আবহাওয়ার পরিবর্তন প্রকৃতিক সম্পদ, বিশেষত পানির ক্ষেত্রে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবী জুড়ে শহরের ক্রমশ বহরে বাড়ছে। তাই প্রকৃতি তার সামঞ্জস্য রক্ষা করতে পারছে না। এর প্রমাণস্বরূপ লাস ভেগাস শহরের বেড়ে ওঠা দেখিয়েছে স্যাটেলাইট ইমেজ। ১৯৭২ সালে লাস ভেগাসের যে রূপ ছিল, ২০১৭ সালে তা আকারে, আয়তনে অনেক বেড়েছে।