স্বামীর সহায়তায় পোশাক কর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০১৯ ১৩:১৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২২ বার।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বামীর চক্রান্তে এক পোশাক কর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

রাতেই পুলিশকে অভিযোগ করেন ওই নারী। ঘটনাটি ঘটেছে কেন্দুয়া-মদন সড়কের দুলাল মিয়ার শাপলা ইটখোলায়। পুলিশ ওই দিন রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

তবে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা জন্য শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ।

ওই নারী (২১) হাসপাতালে দেশ রূপান্তরকে জানান, নেত্রকোনার মদন উপজেলার জাউলা গ্রামের সুমনের (২২) সঙ্গে একটি সোয়েটার কারখানায় একসঙ্গে চাকরি করেন। তারা নিজেদের পছন্দ করে পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করেন।

ওই নারী জানান, ঈদের ছুটিতে তিনি তার বাড়ি যান। বৃহস্পতিবার তার স্বামী সুমন মদন থেকে এসে তাকে মোটরসাইকেলে নিয়ে ঘুরতে বের হন। এরপর কেন্দুয়া-মদন সড়কের দুলাল মিয়ার শাপলা ইটখোলার কাছে আসতেই মোটরসাইকেলের স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, এর আগে সুমনের নম্বরে বারবার ফোন আসছিল। কয়েকবার স্টার্ট দেওয়ার চেষ্টার পর মোটরসাইকেল নষ্ট হয়ে গেছে জানিয়ে ঠেলে নিয়ে যেতে থাকে সুমন। তখন ইটখোলা থেকে তিন যুবক বেরিয়ে তাদের ধরে নিয়ে তার স্বামীকে বেঁধে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ওই নারী বলেন, পরে ধর্ষণকারীরা স্বামীসহ ওই মোটরসাইকেল চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

তার দাবি স্বামীর পরিকল্পনায় তিনি ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন।

কেন্দুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলা শুক্রবার সকালে নেয়া হয়েছে। ধর্ষিতার পরিবারের সদস্য ও ঘটনাস্থলের আশপাশের বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

বিষয়টি রহস্যজনক জানিয়ে কেন্দুয়া সার্কেলের পুলিশের এএসপি মাহমুদুল হাসান বলেন, ওই নারীকে মোটরসাইকেলে নিয়ে আসার সময় তার কথিত স্বামীর ফোনে বারবার ফোন আসছিল। সেই সঙ্গে মোটরসাইকেল নষ্ট হলে পরে আবার কী করে সেটি স্টার্ট নিল এই ব্যাপারটা একটু রহস্যজনক।

তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার নারী ভালো করে ছেলের বাড়িঘরের ঠিকানাও বলতে পারে না।

 ‘তবে পুলিশ তৎপর রয়েছে ও কথিত স্বামী সুমনকে আটক করবে। পোশাক কর্মীকে সহায়তায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে পুলিশ’।