যেভাবে ঈদ উদযাপন করলেন কানাডার প্রবাসী বাঙালিরা

পুূণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০১৯ ০৮:০৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৯ বার।

 

কানাডার বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতর পালন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রবাস জীবনের যান্ত্রিকতা দূরে সরিয়ে ঈদের দিনে প্রবাসী বাঙালিরা মিলিত হন একে অপরের সঙ্গে। খবর : সমকাল অনলাইন।

 

কানাডায় ঈদের দিনেও অনেকে প্রবাসীর কর্ম দিবস থাকে। তবু তারা খুব ভোরে নতুন পোশাক পরে আগেভাগে বাসা থেকে বের হন পড়েন ঈদের নামাজ পড়তে। যাদের কর্মদিবস থাকে না, তাদের অনেকে মসজিদে নামাজ শেষে পরিবার পরিজন নিয়ে বের হন ঘুরতে। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সবাই একত্রিত হয়ে মেতে ওঠেন গল্প-আড্ডায়। আড্ডায় উঠে আসে ঈদ আনন্দের সঙ্গে দেশের পরিবেশ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ঘটে যাওয়া নানা মাত্রিক ঘটনাবলী। আড্ডার পাশাপাশি চলে ঈদ উপলক্ষে রান্না করা বিরিয়ানি, পোলাও, কোর্মা, মাংসের চপ, রোস্ট, জর্দা আর গৃহবধূদের নিজ হাতের তৈরি দইসহ নানা স্বাদের খাবার পরিবেশন। থাকে আমসহ বিভিন্ন প্রকার ফলও। 

 

এই মহামিলনের পাশাপাশি প্রবাস থেকে দেশের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে চলে টেলিফোনে আলাপচারিতা। এই আলাপে কারো কারো নয়ন ভেসে যায় জলে। অশ্রুসিক্ত নয়নে দেশে একসঙ্গে ঈদ না করতে পারার আক্ষেপ করেন প্রবাসীরা।

 

ঈদের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কানাডা প্রবাসী ডা. তুরিন চৌধুরী বলেন, খুব মিস করি শৈশবের সেই আনন্দের ঈদকে। সেই দিন সময় আর কখোনই ফিরে পাবার নয়। ব্যস্ত এই প্রবাস জীবনে পরিবার আর বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে যদিও ঈদ করি, কিন্তু সেই সময়ের ঈদ এখন কেবলই স্মৃতি।

 

বেঙ্গল ফার্মেসি ও কমিউনিটি জি বাংলাদেশি ফার্মেসি গ্রুপের স্বত্তাধিকারী ড. ইব্রাহিম খান আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, সবাই আছে শুধু সময়টাই নেই। ঈদের দিন সময় বের করে বাংলাদেশের আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। শুধু এতটুকুই। সময় বড়ই নিষ্ঠুর, ইচ্ছে করলেই সব কিছু হয় না। তবু প্রবাসের ঈদ পরিবার পরিজন নিয়ে উপভোগ করি আনন্দ করি।

 

এবিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ড. মো. বাতেন বলেন, বাংলাদেশের মত আনন্দ করে এখানে ঈদ হয় না। প্রবাসে আমরা বাঙালিরা একে অপরের বাড়িতে যাই, শুভেচ্ছা বিনিময় করি। রোমান্থন করি দেশের সেই সময়ের স্মৃতি। নতুন প্রজন্মের অনেকেই আমাদের সময়কার সেই ঈদের আনন্দ বুঝতেই পারবে না। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

 

তিনি বলেন, চলার পথে রাজধানী ঢাকা শহরের মতো এখানে কোন যানজট না থাকলেও ইচ্ছে করলেই বাস আর ট্রেনের টিকিট কেটে দেশের বাড়িতে যাওয়া যায় না। দেখা হয় না মমতাময়ী মা-বাবা পরিবার পরিজনদের সঙ্গে। তাইতো তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনজনদের খোঁজ খবর নেই, আর মুঠোফোনে তাদের ডিজিটাল হাসির ছবি দেখেই পালন করতে হয় আমাদের ঈদ উৎসব।