পেট চালাতে ধনেপাতা বিক্রি করতেন এই অভিনেতা!

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০১৯ ১৪:০৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫২ বার।

বলিউডে জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে যাত্রা শুরু। বড়জোড় ১-২ মিনিটের জন্যই পর্দায় দেখা যেত তাকে। সেই তিনিই আজ বলিউডের অন্যতম তারকা।

উত্তরপ্রদেশের বুধানা গ্রামে জন্ম তার। আট ভাইবোনের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বড়।

তিনি নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। রোজগারের জন্য তিনি এক সময় ধনে পাতাও বিক্রি করেছেন। বাবার দোকানে কাজও করেছেন পড়াশোনার ফাঁকে। সম্প্রতি এক টিভি শোতে একথা জানিয়েছেন তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা করলেও কাজের খোঁজে দিল্লিতে এসে ভর্তি হন ‘ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায়। ক্যারিয়ারের শুরুতে কোনো পরিচালকই তাকে নিতে চাইতেন না তার চেহারার জন্য। আজ তিনি বলিউডের ‘এ-লিস্টেড’ অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম।

২০০৩ সালে ‘বাইপাস’ নামক একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের সিনেমায় ইরফান খানের সঙ্গে অভিনয় করেন। পরিচালকদের নজরে পড়েন এই সিনেমার মধ্যে দিয়েই।

২০০৭ সালে ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ তাকে প্রথম পুরস্কার এনে দেয়। এরপর একে একে ‘নিউইয়র্ক’, ‘দেব-ডি’, ‘পিপলি লাইভ’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেন।

২০১২ সালে বলিউড তার অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ পায়। ‘কাহানি’র পুলিশ অফিসার থেকে ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’-এর মাফিয়া। আবার ‘পান সিংহ তোমার’-এর বায়োপিকেও অভিনয় করেন তিনি।

ভিন্ন স্বাদের সিনেমা তো বটেই, কমার্শিয়াল সিনেমাতেও তিনি যে সমান সাবলীল তার উদাহরণ রয়েছে ‘কিক’, ‘বজরঙ্গী ভাইজান’ বা ‘ফ্রিকি আলি’।

তবে যে সিনেমাই হোক না কেন তার অভিনয়ের জাদুতে গল্প আলাদা এক মাত্রা পায়। তাই অ্যাওয়ার্ডের সংখ্যাও কম নয়। ফিল্মফেয়ার থেকে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড সবই পেয়েছেন তিনি।

কিছুদিন আগেই তিনি একটি ছবি পোস্ট করে জানান, তার বোন ১৮ বছর বয়স থেকে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়ছেন। ক্যানসার আক্রান্তদের উদ্দেশে তিনি জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন।

সম্প্রতি তিনি ‘মান্টো’ ও বালসাহেব ঠাকরের জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি ‘ঠাকরে’তে অভিনয় করে দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

ওয়েব সিরিজ ‘সেক্রেড গেমস’-এ তার অভিনয় নিয়ে চর্চা হয়েছে অনেক। তারই দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এখন তিনি। বেরিয়েছে তার পোস্টারও।

এছাড়াও নেটফ্লিক্সের ‘সিরিয়াস মেন’ নামের একটি সিনেমায় তাকে মূল অভিনেতা হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে তার বন্ধুত্বকে তিনি সেরা বলে মনে করেন। অনুরাগের হাত ধরেই ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’, ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’ বা ‘রমন রাঘভ ২.০’-র মতো সিনেমা তিনি করেছেন।

পর্দার পেছনে তিনি অত্যন্ত সাধারণভাবে জীবনযাপন করেন। দামি ব্র্যান্ডেড জিনিস তার পছন্দ নয়। ছোটবেলা দরিদ্রতায় কাটিয়েছেন বলেই টাকার মূল্য বোঝেন-জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বিবাহিত, স্ত্রীর নাম অঞ্জলি সিদ্দিকি। একটি ছেলে ও একটি মেয়ের জনক তিনি।