বগুড়ায় তিন ঘন্টার ব্যবধানে কৃষক ও দিন মজুরের লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১১ জুন ২০১৯ ১২:৪৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮০ বার।

বগুড়ায় তিন ঘন্টার ব্যবধানে দু’টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সদর উপজেলার কদিমপাড়ার একটি পাট ক্ষেত থেকে প্রথমে খলিলুর রহমান (৫৫) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর বেলা ৩টার দিকে সদরের টেংরাগাড়ি এলাকায় পানি সেচের জন্য স্থাপন করা শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অগভীর নলকূপের ঘরের ভেতর থেকে লাল্টুমিয়া (৪০) নামে অপর এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা খলিলুর রহমানকে সোমবার রাতের কোন এক সময় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে লান্টু মিয়ার লাশ ৩/৪দিন আগের জানা গেলেও তার মৃত্যু কিভাবে সে ব্যাপারে পুলিশ এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি।
নিহত খলিলুর রহমান সদর উপজেলার গোপালবাড়ি গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে। তিনি একজন কৃষক, তবে গরু-ছাগল কেনা-বেচাও করতেন। অন্য দিকে সদর উপজেলার হাজরাদীঘি গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে লাল্টু মিয়া একজন দিনমজুর। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ দুটি উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। মামলা হয়নি তবে প্রস্তুতি চলছে।
খলিলুর রহমানের স্বজনদের উদ্ধৃত করে পুলিশ জানায়, তিনি সোমবার দুপুরে বাই-সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি। তার দুই স্ত্রী ও দুই ছেলে রাতভর বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে  কদিমপাড়া মাঠে গ্রামের কয়েকজন নারী পাটের শাক তুলতে গিয়ে একটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবরটি জানাজানি হলে স্ব^জনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি খলিলুর রহমানের বলে সনাক্ত করেন এবং পুলিশে খবর দেন। পুলিশের ধারণা পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই তাকে হত্যা করা হতে পারে।
অন্যদিকে টেংরাগাড়ি এলাকায় সেচের জন্য স্থাপন করা শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অগভীর নলকূপের ঘরের পাশ দিয়ে মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে স্থানীয় একদল লোক হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা ওই ঘরের ভেতর থেকে দূর্গন্ধ পান। এরপর উঁকি দিয়ে ভেতরে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ খবর দেওয়া হয়। ব্যক্তি জীবনে অবিবাহিত লাল্টু মিয়া পেশায় একজন দিনমজুর। জমিতে সেচ দেয়া ছাড়াও সেচ যন্ত্র পাহারা দেওয়ার জন্য সে রাতে মেশিন ঘরেই থাকতো
বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা জানান, ধারণা করা হচ্ছে সোমবার রাতের কোন এক সময় খলিলুর রহমানকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে লাশটি পাট ক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। তিনি জানান, ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রেজাউল করিম রেজা জানান, লালটু মিয়ার মৃত্যু ৩/৪ দিন আগে হয়েছে। তবে সে কিভাবে মারা গেল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তার গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।