রুমিন ফারহানার যে কথায় উত্তপ্ত সংসদ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৯ ০৬:২৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১৪ বার।

বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনে প্রথমবারের মতো সংসদে যোগ দেন। তার এক বক্তব্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ।

বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন শুভেচ্ছা বক্তা হিসেবে বলার সুযোগ দেয়া হয় বিএনপির সহআন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানাকে। তিনি ফ্লোর নিয়ে বলে ওঠেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়।’

এ সময় সংসদ কক্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সরকারি দলের সদস্যরা দাঁড়িয়ে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান।

রুমিনের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদের বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপির এ এমপি প্রায় আড়াই মিনিট বক্তব্য রাখলেও সরকারদলীয় মন্ত্রী-এমপিদের চিৎকার, চেঁচামেচি ও প্রতিবাদের কারণে সংসদ কক্ষে কেউ রুমিনের বক্তব্য ভালোভাবে শুনতে পাননি।

ফ্লোর নিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, বর্তমান সংসদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। টিআইবিসহ সবাই বলেছে- এ সংসদ জনগণের ভোটে হয়নি। তাই খুশি হব এই সংসদের মেয়াদ যেন একদিনও না বাড়ে।

দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার আমি এমন একটি সংসদে দাঁড়িয়ে আছি, যেই সংসদে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আপসহীন নেত্রী, গণতন্ত্রের জন্য যিনি বারবার কারাবরণ করেছেন, বাংলাদেশের মানুষের, গণমানুষের নেত্রী, যিনি জীবনে কোনো দিন, কোনো আসন থেকে কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি- সেই বেগম খালেদা জিয়া এই সংসদে নেই। তাকে পরিকল্পিতভাবে, একটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলায় আজকে কারাগারে ১৬ মাসের অধিক সময় আটকে রাখা হয়েছে। একজন আইনজীবী হিসেবে আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই- বেগম খালেদা জিয়ার মামলার যে ম্যারিট, তার শারীরিক অবস্থা, তার সামাজিক অবস্থান এবং তার যে বয়স, সবকিছু বিবেচনায় তিনি তাৎক্ষণিক জামিন লাভের যোগ্য।’

তারেক রহমানের প্রতি সরকার অন্যায় করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সরকারের হুমকিতে আমাদের অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন না। আমাদের শীর্ষ থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত একেকজনের নামে শত শত মামলা। মাননীয় স্পিকার তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে একজন সজ্জন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত।’

তার এমন বক্তব্যের বিরুদ্ধে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা দাঁড়িয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার ও এক্সপাঞ্জের দাবি জানান। রুমিনের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

পরে স্পিকার আর কাউকে ফ্লোর না দিয়ে দিনের পরবর্তী কার্যসূচিতে প্রবেশ করলে উত্তেজনার প্রশমন ঘটে।