প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে বিক্ষোভে অচল হংকং

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৯ ০৬:৪১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৯ বার।

হংকংয়ে প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে চলমান বিক্ষোভ আরও জোরদার হয়েছে। বিতর্কিত বিলটি নিয়ে বুধবার পার্লামেন্টে আলোচনার কথা থাকায় মঙ্গলবার সারারাত পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে কয়েক লাখ বিক্ষোভকারী অবস্থান নিয়েছিলেন।

গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনের আশপাশের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে ভবনগুলোতে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারীরা।

বুধবার ভোররাত থেকেই হংকংয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন বিক্ষোভে যোগ দেয়ার জন্য আসতে শুরু করে। শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও ধর্মঘট শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে।

সড়কগুলো অবরুদ্ধ থাকায় সরকারি কর্মচারীদের গাড়ি চালিয়ে সরকারি দফতরগুলোতে না আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বিলটি বাতিলের দাবিতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের বিক্ষোভের পরও পিছু না হটে হংকং প্রশাসন। যেকোনো মূল্যে আইনটি পাস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা।

বিলটি আইনে পরিণত হলে চীন সন্দেহভাজন যেকোনো ব্যক্তিকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে।

চীনের প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে হংকংয়ের রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন লাখো ছাত্র-জনতা। এক দশকের মধ্যে এটিই হংকংয়ে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ সমাবেশ।

মানবাধিকার সুরক্ষাসহ আইনগত পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রেখেই বিলটি তৈরি করা হচ্ছে বলে হংকং সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও সরকারের কথায় আস্থা রাখতে পারছেন না হংকংয়ের জনগণ।

ব্রিটিশ উপনিবেশ থাকা হংকংকে ১৯৯৭ সালে চীনের হাতে তুলে দেয়ার পর এবারের প্রত্যর্পণ বিল ইস্যুতে এ অঞ্চলে সবচেয়ে বড় গণবিক্ষোভ চলছে।

গত বছরের এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত বিলটি তৈরি করা হয়। হংকংয়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাইওয়ানে ছুটি কাটানোর সময় অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে।

কিন্তু তাইওয়ানের সঙ্গে হংকংয়ের কোনো বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকায় গর্ভবতী বান্ধবীকে খুন করে হংকংয়ে ফিরে আসে ওই ব্যক্তিকে তাইওয়ানে বিচারের জন্য ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না।

প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ বিলটি পাস হলে এ রকম পরিস্থিতিতে সন্দেহভাজন অপরাধীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাবে।

কিন্তু হংকংয়ের সাধারণ জনগণ সন্দেহ করছেন, চীন এই আইনের সুবিধা নিয়ে হংকংবাসীর ওপর খবরদারি বাড়াতে পারে। এভাবেই বিষয়টি হংকংয়ে এ মুহূর্তে একটি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।

রোববার থেকে শুরু হয় প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ। হংকং প্রশাসনের পক্ষে থাকা ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, আইনজীবী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, গণতন্ত্রকামী ও ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠী এ প্রস্তাবিত বিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।