যে কারণে রিজার্ভ ডে রাখেনি আইসিসি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৯ ০৭:০৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭৪ বার।

বৃষ্টির কারণে আকর্ষণ হারাতে বসেছে এবারের বিশ্বকাপ। এরই মধ্যে পরিত্যাক্ত তিনটি ম্যাচ। ভুক্তভোগীদের তালিকায় পড়েছে বাংলাদেশও। বৃষ্টির কারণে ব্রিস্টলে শীলঙ্কার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি খেলা হয়নি তাদের। টুর্নামেন্টে কেন রাখা হয়নি রিজার্ভ ডে, ঘুরেফিরে আসছে সেই প্রশ্ন। অবশ্য রিজার্ভ ডে না রাখার কারণ জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড রিচার্ডসন।

১৯৯৯ সালে শেষবার যখন ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ হয়, সেবার ছিল রিজার্ভ ডে। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপেও ছিল এই নিয়ম। পরিসংখ্যান বলছে, বৃষ্টির কারণে এর আগে কোন বিশ্বকাপই এতটা 'ক্ষতির' মুখে পড়েনি।

এক সপ্তাহের মাঝে ব্রিস্টলে একটি বল মাঠে না গড়িয়েই পরিত্যক্ত হয়েছে দুটি ম্যাচ। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত হয়নি তিনটি ম্যাচ, যা এক বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ১৯৯২ ও ২০০৩ সালে দুটি করে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল।

যেখানে ইংল্যান্ডের অনেক জায়গাতেই ম্যাচের সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে, তাহলে আইসিসি কেন রিজার্ভ ডে রাখেনি? জবাবে রিচার্ডসন বলছেন, এমনিতেই যেখানে টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য ৪৫ দিন, সেখানে রিজার্ভ ডে রেখে সেটাকে আর বাড়াতে চাননি তারা, “প্রতি ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডে রাখলে টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য আরও বেড়ে যেত। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপ আয়োজন করা অনেক বেশি জটিল হয়ে দাঁড়াত। পিচ প্রস্তুতি, দলগুলোর বিশ্রাম, ভ্রমণ, হোটেলের বুকিং, ভেন্যুর প্রাপ্যতা, টুর্নামেন্টের স্টাফ, অফিশিয়ালদের তৈরি থাকা, স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহণ ও সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটত। আর রিজার্ভ ডেতে যে বৃষ্টি হবে না, তার নিশ্চয়তা কী?”

নির্ধারিত দিনে ম্যাচ আয়োজনের জন্য আইসিসি সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলে দাবি রিচার্ডসনের, “১২০০ মানুষ নিজেদের সবটুকু দিয়ে ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছে। রিজার্ভ ডে থাকলে আরও অনেক বেশি মানুষের দরকার হতো। নকআউট পর্বের জন্য আমরা রিজার্ভ ডে রেখেছি। কারণ গ্রুপ পর্বের দৈর্ঘ্য এমনিতেও অনেক লম্বা।”