গৃহকর্তার পাশবিক নির্যাতনে জীবন সংকটাপন্ন শিশু রোকসানার

আব্দুল আউয়ালঃ
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:২১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৪৭ বার।

গৃহকর্তার পাশবিক নির্যাতনে ব্রেইন হ্যামারেজে আক্রান্ত দশ বছর বয়সী শিশু রোকসানার পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে  বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ।  শুক্রবার বিকেল ৫ টায় রোকসানার বাবা রাসেল মিয়ার হাতে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন সংগঠনটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুল ইসলাম। বর্তমানে রোকসানা কঙ্কালসার হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলা আইসিউতে ভর্তি রয়েছে ।

নড়াইলের লোহাগড়া থানার দরিদ্র পরিবারের সন্তান রোকসানা। কিন্তু দরিদ্রতার সুযোগ নেয় ঢাকার ইলিয়াস হোসেন পলাশ এবং সোনিয়া দম্পতি। তাদের গ্রামের বাসা মুন্সীগঞ্জ হলেও তারা  ঢাকার ওয়ারীর টিপু সুলতান রোডে অবস্থান করছিল। গত আট মাস আগে ওই দম্পতি রোকসানার পরিবারকে  তাদের বাসায়  টুকিটাকি কাজ করানোর জন্য রোকসানাকে  ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। এমনকি   ভবিষ্যতে বিয়ে দেয়ার খরচের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফুঁসলিয়ে রোকসানাকে ঢাকার বাসায় নিয়ে যান।

 কিন্তু ঢাকায় নিয়ে আসার পর ওই   দম্পতি এবং সোনিয়ার ভাই ইব্রাহীম মোল্লা এই তিনজন মিলে বিভিন্ন সময় এই ছোট্ট শিশু রোকসানার উপর অমানিবক নির্যাতন চালাতো। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে পোড়া ক্ষত এবং শরীরে যৌনতার কামড়ের দাগের চিহ্ন রয়েছে। একপর্যায়ে রোকসানা ব্রেইন হ্যামারেজ নিস্তেজ হয়ে পড়লে গৃহকর্তী সোনিয়া শিশুটিকে কলাবাগানের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে বাচ্চাটির বাবা মার কাছে ফোন দিয়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে রোকসানার বাবা নড়াইলের লোহাগড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ওই দম্পতিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলে নড়াইল কোর্টে আত্মসমর্পন করে আসামি সোনিয়া। কিন্তু তার স্বামী হজ্বে যাওয়ায় এখনো দেশের বাইরে রয়েছে। তাই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে সোনিয়ার ভাই এখনো পলাতক রয়েছে।  

এ ব্যাপারে রোকসানার বাবা  রাসেল মিয়া আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন এবং  রোকসানার এই  বিপদে সবার কাছে সাহায্যের দাবী জানান। বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ নেতা শেখ শরিফুল ইসলাম জানান, ‘ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি অবগত হয়েই  রোকসানার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।‘