দাঁতের চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে নেয়া হয়েছে ডেন্টাল ইউনিটে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৯ ১৩:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২২ বার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার দাঁতের পরীক্ষার জন্য তাকে কেবিন ব্লক থেকে দন্ত বিভাগে নেয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরে কেবিন ব্লকের ৬২১ নম্বর কক্ষ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে নামিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালের ‘এ’ ব্লকে ডেন্টাল ইউনিটে আনা হয়। পরে হুইলচেয়ারে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় চতুর্থ তলায়।

এ বিষয়ে হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক নাজমুল করিম জানান, খালেদা জিয়ার দাঁত পরীক্ষা করা হবে। পরে তাকে আবারও কেবিনে ফিরিয়ে নেয়া হবে।

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বুধবার দুপুর ১টা ৫ মিনিটে তাকে দন্ত বিভাগে নেয়া হয়।সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোগী ছাড়া অন্যদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় শাহবাগ থানা পুলিশ।

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা খাটছেন খালেদা জিয়া। ৭৪ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বয়সজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। গত ১ এপ্রিল তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে এখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।

বিএসএমএমইউতে ভর্তির পর গত ২৮ মার্চ খালেদা জিয়ার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এ বোর্ডের প্রধান হলেন ডা. জিলন মিঞা। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. তানজিমা পারভিন, ডা. বদরুন্নেসা আহমেদ, ডা. চৌধুরী ইকবাল মাহামুদ। এ ছাড়া ডা. শামীম আহমেদ ও ডা. মামুন মেডিকেল বোর্ডকে সহযোগিতা করছেন।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে মাহবুবুল হক ঈদুল ফিতরের সপ্তাহখানেক আগে জানিয়েছিলেন, মুখে জিহ্বায় ঘা হওয়ায় খালেদা জিয়ার খেতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে তা অনেকটাই সেরে গেছে। তিনি জানিয়েছিলেন, দাঁতের সমস্যার কারণেও ঘা হতে পারে। প্রয়োজনে বিষয়টি তারা পরীক্ষা করে দেখবেন।

প্রসঙ্গত গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ এপ্রিল তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে আনা হয়। সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে, সুস্থ হলে খালেদা জিয়াকে আর পুরনো কারাগারে ফেরানো হবে না। তার জন্য কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করেছেন বিএনপির আইনজীবীরা।