গুজরাটে আঘাত হানছে না ঘূর্ণিঝড় বায়ু

ভারতের গুজরাটের ওপর বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় ‌'বায়ু' আছড়ে পড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। তবে রাতারাতি গতিপথ বদলেছে বায়ু। খবর এনডিটিভির।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত বায়ু সরে গেছে সমুদ্রের দিকে। তবে, গতিপথ পরিবর্তন করলেও আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য পশ্চিম উপকূলে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি থাকবে। 

আমেদাবাদ আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মনোরমা মহান্তি জানিয়েছেন, গুজরাটে আছড়ে পড়ছে না বায়ু। আপাতত এর গতিপথ ভেরাভাল, পোরবন্দর এবং দ্বারকার দিকে। এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া বইবে। 

সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়া বইছে উপকূল দিয়ে। বুধবার দিউ এবং গুজরাটের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে তিন লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। 

ইতেমধ্যেই পশ্চিম রেল যাত্রা বাতিল করেছে ৭০টি ট্রেনের। যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে ২৮টি ট্রেনের। সতর্কতা জারি থাকা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে উপকূলীয় অঞ্চলের সমস্ত স্কুল। বিপর্যয় এড়াতে ডুবুরিদের সমুদ্রের ধারে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার মধ্য রাত থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে পোরবন্দর, দিউ, ভাবনাগর, কেশোদ আর কান্দলার বিমানবন্দর। আবহাওয়ার অবস্থা বুঝে বন্ধ রাখা হবে সুরাট বিমানবন্দরও। গুজরাট উপকূলের দুটি প্রধান বন্দর, কোচ উপসাগরের আদানি ও দিনদয়াল থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে বুধবার থেকে।

বায়ুর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে মুম্বাইতেও। এর ফলে, মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে ৪০০টি বিমান বাতিল হতে পারে। পিটিআই জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই ১৯৪টি বিমান দেরিতে ছেড়েছে। বিমানবন্দরে দেরিতে এসে পৌঁছোয় ১৯২টি বিমান।

ন্যাশনাল ডিজাস্টার কমব্যাট ফোর্স (এনডিআরএফ), উপকূলীয় নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং সীমান্তের সেনাবাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সমুদ্রে ১৫ জুন পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যাওয়া না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গুজরাট সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি সোমনাথ, দ্বারকা, সাসান, কুচ থেকে আপাতত নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন পর্যটকদের।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবহাওয়াবিদ, সরকার এবং স্থানীয় সংস্থাগুলির রিয়েল টাইমের দেওয়া তথ্য নির্দেশ মেনে চলার কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড় প্রভাবিত অঞ্চলের মানুষদের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা জানিয়েছেন তিনি।