দুই মাসের মধ্যে ভোক্তা অধিকার হটলাইন চালুর নির্দেশ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০১৯ ০৭:২২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭৫ বার।

আগামী দুই মাসের মধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে হটলাইন চালুর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে আনুষ্ঠানিক হটলাইন নম্বর চালু না করা পর্যন্ত ০১৭৭৭-৭৫৩৬৬৮ নম্বরে ভোক্তারা অভিযোগ করতে পারবেন।

রোববার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চের নির্দেশনার আপাতত এই নম্বরটি সরবরাহ করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

এর আগে তলবে হাইকোর্টে হাজির হন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া নামীদামি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের (সাবস্ট্যান্ডার্ড) ৫২ পণ্য বাজার থেকে অবিলম্বে না সরানোয় গত ২৩ মে তাকে তলব করে হাইকোর্ট।

আজ শুনানিতে আদালত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কেন কোনো হটলাইন নেই? এসময় বিচারক জানান, তিনি নিজেই এর ভুক্তভোগী।

পরে আগামী দুই মাসের মধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে হটলাইন চালুর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

এ সময় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, আনুষ্ঠানিক হটলাইন নম্বর চালু না করা পর্যন্ত ০১৭৭৭-৭৫৩৬৬৮ নম্বরটি ভোক্তা অধিকারের অভিযোগ প্রদান নম্বর হিসেবে থাকবে। এরপর তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয় হাইকোর্ট।

এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। প্রতি সপ্তাহে ঢাকায় ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে কমপক্ষে তিনটি অভিযান পরিচালনা করতে বলা হয়।

শুনানিতে হাইকোর্ট বলে, সরকারের সঙ্গে আমাদের বিরোধ নেই। আদালত চায় খাদ্য নিরাপদ হোক। শুধু ৫২টি পণ্য নয়, বাজারে সব ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সম্প্রতি ৪০৬টি খাদ্য পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে বিএসটিআই। এর মধ্যে ৩১৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ৩১৩টির মধ্যে ৫২ পণ্য মানহীন বলে প্রতিবেদন দেয় মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটি। বাকি ৯৩ পণ্যের মধ্যেও ২২টি নিম্নমানের বলে জানিয়েছেন তারা।

এর আগে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মে হাইকোর্ট এক আদেশে রুল দিয়ে মানহীন পণ্য অবিলম্বে সরাতে ও জব্দে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সেই সঙ্গে নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে ওই দুই কর্তাব্যক্তিকে আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়। ২৩ মে অগ্রগতি বিষয়ক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।