তীব্র তাপদাহে বিহারে ৪০ জনের মৃত্যু
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
তীব্র তাপদাহে ভারতের বিহারে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাজ্যটির আওরঙ্গাবাদ, গয়া ও নাওয়াদা জেলায় অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শুধু আওরঙ্গাবাদ জেলায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর এনডিটিভির
আওরঙ্গাবাদের একটি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুরেন্দ্র প্রাসাদ সিং জানান, এই জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক লোক চিকিৎসাধীন। যারা মারা গেছেন তাদের সবাই উচ্চ-তাপমাত্রাজনিত জ্বরে ভুগছিলেন।
গয়ায় হিট স্ট্রোকে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষবর্ধন গয়ার মৃত্যুর ঘটনাকে 'দুর্ভাগ্যজনক' আখ্যা দিয়ে বলেছেন, হিট স্ট্রোকে মানুষের মৃত্যু খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাপমাত্রা না কমা পর্যন্ত লোকজনকে ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। অতিরিক্ত তাপমাত্রা নানা ধরনের রোগের জন্ম দেয়।
চলতি বছর ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলের বাসিন্দারা তীব্র তাপদাহ মোকাবিলা করছে। এরইমধ্যে উত্তর ভারতের চারটি শহর- রাজধানী দিল্লি, রাজস্থানের চুরু এবং উত্তর প্রদেশের বানডা ও এলাহাবাদের তাপমাত্রা ৪৮ সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।
চলতি মাসের ২ জুন চুরুতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
তাপমাত্রা দুইদিন ধরে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বা এর ওপরে থাকলে তীব্র দাবদাহ ঘোষণা করা হয়। পারদ ৪৭ ডিগ্রিতে পৌঁছলে তাকে ‘মারাত্মক তীব্র দাবদাহ’ বলা হয়।
এরমধ্যে বিহারে তীব্র এনসেফেলাইটিসেরও প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে চলতি মাসে রাজ্যটির মুজাফফরপুর জেলায় ৭৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষবর্ধন রোববার ফরপুর জেলা পরিদর্শন করেছেন।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এসব মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে চার লাখ রুপি করে সহায়তার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।