পা হড়কানোর আর সুযোগ নেই মাশরাফিদের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০১৯ ০৬:৫৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৮ বার।

বেশ বড় মুখ করেই বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে সমর্থকদের স্বপ্নটা আরো বড় করেছিলেন মাশরাফি-তামিমরা। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো পর সীমানা ছাড়ায় সবারই স্বপ্ন। সেমিফানালের ওঠার স্বপ্নে বুদ ছিলেন দেশের সবাই। তবে টানা দুই ম্যাচে হার ও বৃষ্টির কারণে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচটা ভেসে যাওয়ার পর টাইগারদের সেমিফাইনালের স্বপ্নটা বিবর্ণ হয়ে এসেছে। বাংলাদেশের সামনে পথটা এখন পিচ্ছিল। একটা ম্যাচ হারলেই শেষ হয়ে যেতে পারে শেষ চারের স্বপ্ন। তাই প্রতিটি পদক্ষেপে হতে হবে সাবধানী। পা হড়কনোর আর সুযোগ নেই।

টনটনে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বলার অপেক্ষা রাখে না, আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটা এক নয়। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সেই জয়ের স্মৃতির জাবর কেটে লাভ নেই। এই দলটাতে রয়েছেন ক্রিস গেইল, নিকোলাস পুরান, এভিন লুইস, আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্রাফেটরা। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এদের একজনই ম্যাচ বের করে নিতে সক্ষম। পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়াকেও তো প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল দলটি। ক্যারিবীয়দের এই দলটি যে আসলেই ভয়ঙ্কর সেটা তো আর না বললেও চলে।

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তাদের সামর্থ্যের প্রশ্নে উতরে গেছেন। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকাররা ছন্দে রয়েছেন। ফর্মে ফেরার অপেক্ষা করছেন তামিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে টাইগারদের চিন্তা বাড়াচ্ছেন পেসাররা। টনটনের মাঠটা খুব একটা বড় নয়। গেইল-রাসেলদের মিস হিটও বাউন্ডারি ছাড়া হতে পারে। তাই বোলিংটা আটোসাটো হতেই হবে। সেদিকটাতেই পিছিয়ে বাংলাদেশ। সেরা ছন্দে নেই মাশরাফি, মুস্তাফিজরা। সাইফুদ্দিন উইকেট পেলেও ব্যয়বহুল হয়েছেন প্রতিটি ম্যাচেই। রুবেল হোসেনের বিষয়ে কোনো সুখবর নেই। অন্যরকম কিছু না ঘটলে আজও সাইডলাইনে বসেই সতীর্থদের খেলা দেখতে হবে তাকে।

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে বাংলাদেশের অন্যতম ভরসার জায়গা হলো স্পিন। মেহেদী হাসান মিরাজ প্রতি ম্যাচেই ভালো বল করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপে বাঁহাতিদের ছড়াছড়ি। মিরাজের মতো সাকিবও স্পিনে ত্রাস ছড়াতে সক্ষম। সেই সাথে আজ যদি মাহমুদউল্লাহও বল হাতে সফলতা পান তাহলে সেটা টাইগারদের জন্য ইতিবাচক হবে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিততে হলে গেইল, রাসেল, সাই হোপকে দ্রুত ফেরানোর বিকল্প নেই। সেই সাথে ব্যাট হাতে বড় স্কোরও গড়তে হবে টাইগারদের। প্রথমে ব্যাটিং করলে স্কোরটা ৩০০-৩২০ হওয়া চাই। আর ক্যারিবীয়রা যদি প্রথমে ব্যাটিং করেন তাহলে তাদের তিনশ রানের নিচে আটকাতে হবে। আজ আর ভুল করলে চলবে না। তামিম-সাকিব-মাশরাফিদের দিতে হবে সামর্থ্যের সবটুকু। এতোটুকু ভুল হলে কিন্তু বিপদ!