ওসি মোয়াজ্জেমকে আজ আদালতে তোলা হবে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০১৯ ০৯:১৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০২ বার।

 

পরোয়ানা জারির ২০ দিনের মাথায় গ্রেফতার ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে আজ সোমবার আদালতে তোলা হবে। খবর ঃ সমকাল অনলাইন।

 

সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তাকে সোনাগাজী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে শাহবাগ থানা পুলিশ। আজ দুপুরে তাকে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে বলে জানান শাহবাগ থানার পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান।

 

মাহবুবুর রহমান বলেন, রোববার রাতে ঢাকায় আসা সোনাগাজী থানা পুলিশের একটি দলের কাছে মোয়াজ্জেম হোসেনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারাই মোয়াজ্জেম হোসেনকে আজ আদালতে হাজির করবে।

 

রোববার রাজধানীর শাহবাগ থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান পুলিশের রমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেন।

 

নুসরাত হত্যার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচিত মোয়াজ্জেমকে গত ১০ এপ্রিল সোনাগাজী থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে ৮ মে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।

 

এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রংপুরের মানুষ। বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে মোয়াজ্জেমকে রংপুর রেঞ্জ থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানায় স্থানীয় নানা সংগঠন।

 

এরপর জরুরি তলব পেয়ে মোয়াজ্জেম রংপুর থেকে ঢাকায় যান। রংপুর রেঞ্জের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে সেবার ঢাকায় যাওয়ার পর মোয়াজ্জেম আর রংপুরে ফিরে যাননি।

 

এর আগে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর ঘটনায় মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পরোয়ানা জারির পর তিনি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন।

 

মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাটি জারি করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৭ জুন পরোয়ানা তামিল-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

 

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় আসা নুসরাতের বক্তব্য নিজ মোবাইল ফোনে ধারণ করেন ওসি।

 

পিবিআইর তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন নিজের মুঠোফোনে নুসরাতের বক্তব্য ধারণ করেন। এতে নির্যাতনের শিকার মেয়েটির ব্যক্তিগত পরিচিতি প্রকাশ পেয়েছে। এর ফলে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৬ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

 

এতে বলা হয়, মোয়াজ্জেম ওই ভিডিও ৮ এপ্রিল শেয়ারইট অ্যাপের মাধ্যমে 'সজল' নামের একটি ডিভাইসে পাঠান। এতে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

 

পিবিআইর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় সামাজিক অস্থিরতার সৃষ্টি ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটার উপক্রম হয়। এর মাধ্যমে মোয়াজ্জেম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩১ ধারায় অপরাধ করেছেন।