ইসলামাবাদে রবীন্দ্র নজরুল জয়ন্তী উদ্‌যাপন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০১৯ ০৯:৫৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২০ বার।

 

যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দ-উৎসবের মধ্যদিয়ে গত ১৩ জুন রাতে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামর ১২০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। খবর সমকাল।

 

প্রবাসী বাংলাদেশি, সামরিক প্রশিক্ষণার্থী এবং মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান। 

 

স্বাগত বক্তৃতাদানকালে তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলার নবজাগরন বা বঙ্গীয় রেঁনেসা সময়ের উজ্জ্বলতম প্রতিনিধি হিসেবে উলেতখ করে বলেন, তাদের সৃষ্টিতে আমরা লক্ষ্য করি মানবিকতার সার্বজনীতার বাণী আর সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার বিরুদ্ধ অবস্থান। তিনি বলেন, পূর্ব বাংলার সাধারণ মানুষের জীবনই হয়ে উঠেছেল এই দুই বরেণ্য কবির সাহিত্য কর্মের প্রধান উপজীব্য। 

 

হাইকমিশনার আরও বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রবীন্দ্রনাথের বাংলাদেশ প্রেম আর নজরুলের বিদ্রোহী চেতনা বাঙালীদের মুক্তিযুদ্ধে ভীষণভাবে অনুপ্রাণীত করেছিল। তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন , রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল কখনোই পুরাতন বা সেকেলে হবেন না;তাদের সাহিত্য বা সৃষ্টির আবেদনগুলো যুগে যুগে আমাদের কাছে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে এবং উঠবে। তারিক আহসান বলেন, বর্তমান জগতের বৈষিকীঁয়তা, বৈষম্য, বর্ণবাদ, ধর্মান্ধতা দূর করে একটি আলোকিত মানবিক সামাজ গড়তে এই দুই কবির রেখে যাওয়া শিক্ষা আমাদের জন্য দিশারী হিসাবে কাজ করবে।

 

আলোচনা শেষে, সাংস্কৃতিক পর্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরম্নলের লেখা কবিতা আবৃতি ও সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। প্রবাসী বাঙ্গালী, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও বাংলাদেশি শিশুরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের দেশীয় খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।