বিএনপি’র অফিসকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিস হিসেবে ব্যবহার

বগুড়া সদরে ধানের শীষ ও আপেল মার্কার সমর্থকদের সংঘর্ঘ: আহত ৫

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০১৯ ১১:৫৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮০ বার।

বগুড়ার একটি গ্রামে বিএনপির স্থানীয় এক অফিসকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিনহাজের অন্তত ৫ সমর্থক আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বগুড়া-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিনহাজের ভাই মোখলেস শাখারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা। সেখানকার বিএনপি অফিসটি স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজের আপেল মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের সমর্থকরা সেখানে ভোটের প্রচারে গেলে বিষয়টি তাদের নজরে পড়ে। এরপর স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়কে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহারের জন্য মিনহাজের সমর্থকদের কাছে কৈফিয়ত তলব করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথাটাকাটি এবং পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ধানের শীষের সমর্থক হিসেবে পরিচিত আরিফুর রহমান আরিফ, আব্দুল্লাহ্্ আল মামুন, সিফাত আল আমিন এবং আপেল ও মাসুদ নামে আপেল মার্কার দুই কর্মীও আহত হয়েছেন।
বিএনপি নেতা মাফতুন আহমেদ খান রুবেল সাংবাদিকদের জানান, পাঁবাড়িয়া এলাকায় তাদের দলীয় কার্যালয়কে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপেল মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাদের নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালায়।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিনহাজের অভিযোগ বিএনপি নেতা-কর্মীরা কোন কারণ ছাড়াই তার সমর্থদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘হামলাকারীরা আমাকেও মারধর করেছে।’ 
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, বিএনপি অফিসকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে তাদেরকে কোন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। ওই ঘটনায় কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি জানিয়ে তিনি বলেন,‘খবর পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত।’