তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে ‘হালাল নাইটক্লাব’ বন্ধ করল সৌদি

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০১৯ ১৩:৪৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৬ বার।

বিশ্বব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার মুখে হালাল নাইটক্লাবটি বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই নাইটক্লাবটি চালুর কথা থাকলেও দেশটির অধিকাংশ নাগরিকের আপত্তির মুখে উদ্বোধনের রাতেই এটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেসের।

সম্প্রতি জেদ্দায় বিখ্যাত ব্র্যান্ড নাইটক্লাব হোয়াইটের কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয়া হলে বিষয়টি নিয়ে সৌদি নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

পবিত্র নগরী মক্কা শহরের পাশে এমন কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে দেশটির অধিকাংশ নাগরিকই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। হালাল নাইটক্লাবের খবর প্রকাশিত হলে বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের মাঝেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়।

বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নাইটক্লাবের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যাতে হোয়াইটের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে কথা বলতে শোনা যায়। বিনোদনের জন্য ডিস্কোকে একটি সম্মানিত কাজ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

এমন আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সৌদি আরবের সংস্কৃতি বিভাগ একটি টুইট বার্তায় জানায়, অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ওই নাইটক্লাবের ভিডিওটি দৃষ্টিগোচর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংস্কৃতি বিভাগ এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

নাইটক্লাবটি খুলতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া হয়নি বলেও জানানো হয়।

এদিকে নাইটক্লাবটির উদ্বোধনী শোতে অংশ নিতে মার্কিন শিল্পী, গীতিকার নে ইয়োকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। নাইটক্লাবটির অনুমতি বাতিল করায় মাঝপথ থেকে ফিরে যান তিনি।

ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবে এতদিন সিনেমা, নারীদের গাড়ি চালানোসহ বিভিন্ন বিষয় ধর্মীয় কারণে নিষিদ্ধ ছিল। দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ‘কট্টরপন্থা’ উপড়ে ফেলে ‘মধ্যপন্থার’ ইসলাম ধর্মে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন।

সেই ধারাবাহিকতায় দুবাই ও বৈরুতের বিখ্যাত ব্র্যান্ড নাইটক্লাব হোয়াইট সৌদি আরবের জেদ্দায় হালাল নাইটক্লাব চালুর ঘোষণা দিয়েছিল।

এ হালাল নাইটক্লাবে বিশ্বের খ্যাতনামা মিউজিক গ্রুপের পরিবেশনা ও সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও মদ বা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় নিষিদ্ধ ছিল।

ড্যান্সে আগ্রহী নারী-পুরুষ সবার জন্য উন্মুক্ত রেখে ওই নাইটক্লাবের লাউঞ্জের একটি অংশে ড্যান্স ফ্লোর রাখা হয়েছিল।

শুরু থেকে নাইটক্লাবটির বিষয়ে নীরব রয়েছে সৌদি মিডিয়াগুলো। আরব নিউজ, আল আরাবিয়া, আশ-শারকুল আওসাতসহ সৌদির শীর্ষস্থানীয় কোনো মিডিয়া এ নিয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।