৫ বছর বয়সের মধ্যেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে

বগুড়ায় সাড়ে ৬ বছরে মুগুর পায়ের ৭৫০ শিশু এখন সুস্থ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০১৯ ১৩:৩০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৮ বার।

বগুড়ায় সাড়ে ৬ বছরে পায়ের পাতা ভেতরের দিকে বাঁকানো বা মুগুর পা নিয়ে জন্মানো ৭৫০ শিশু পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘ক্লাবফুট’ নামে পরিচিত জন্মগত ওই রোগে আক্রান্ত আরও ২৫০জন শিশু চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার পথে। বিশ্ব ক্লাবফুট দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বগুড়ায় এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। 
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. গোলাম রসুল, শজিমেকের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. জাকির হোসেন, সার্জারী বিভাগের প্রধান ডা. এ মোতালেব হোসেন ও শিশু বিভাগের প্রধান ডা. মো. ইমদাদুল হক ও আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লেনকো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কলিন ম্যাকফারলেন। সভাপত্বি করেন শজিমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল। অনুষ্ঠানে চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া শিশুদের নিয়ে তাদের অভিভাবকরা হাজির ছিলেন। এর আগে একটি র‌্যালীর আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় জানানো হয়, মুগুর পা বা ক্লাবফুট রোগ নিয়ে জন্মানো শিশুদের চিকিৎসায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লেনকো’র সঙ্গে যৌথভাবে ওয়াক ফর লাইফ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। দেশের ২৯টি জেলার মধ্যে বগুড়ায় ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
গ্লেনকো ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মমতাজ সুলতানা জানান, প্রতি বছর বাংলাদেশে পায়ের পাতা ভেতরের দিকে বাঁকানো অবস্থায় প্রায় ৪ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করে। আগে এ রোগের কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকলেও এখন ওই রোগে আক্রান্ত যে কোন শিশুকে পাঁচ বছরের মধ্যে চিকিৎসা দেওয়া হলে সে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, মাত্র পাঁচ সপ্তাহের চিকিৎসায় শিশুরা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে। প্রতি রোববার বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ওই ধরনের শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। গেল সাড়ে ৬ বছরে ওই হাসপাতালে ৭৫০জন শিশুকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়েছে।