বগুড়ায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশঃ ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবারও ক্ষমতায় যেতে চায় সরকার

পুণ্ড্রকথা রিপোর্টঃ
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:২৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২২৪ বার।

সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবারও ক্ষমতায় যাবার পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতৃবন্দ। সোমবার বগুড়ায় এক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মানুষের সমস্ত রকম অধিকার ক্ষুন্ন হতে হতে ভোটাধিকারটুকুও আজ আর নেই। দেশ চরম সংকট অতিক্রম করছে। এখান থেকে উত্তরণ করতে হলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন করতে হলে সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের বগুড়ার সমন্বয়ক জিন্নাতুল ইসলাম জিন্নার সভাপতিত্বে বিকেলে শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, বাসদ (মার্কসবাদী), বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন ও বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। সঞ্চালনা করেন বাসদ জেলা সদস্য সচিব সাইফুজ্জামান টুটুল। সমাবেশের পূর্বে শহরে একটি লার পতাকা মিছিল বের করা হয়।

সমাবেশে কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন দুঃশাসনের অভিশাপ দেশে অনেকটা স্থায়ী আসন গেড়ে বসেছে। দুঃশাসনের ভিত্তি দূর করে সুশাসনের আর্থ-সামাজিক পটভূমি রচনার জন্য মূল ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো, যে ব্যবস্থা অনুসরণের ফলে দেশের এই হাল হয়েছে সেই ব্যবস্থা থেকে দেশকে বের করে আনা। এ বিষয়ে স্থায়ী সুফল আনতে হলে শাসন কাঠামোতে অবক্ষয়-অধোগতির উৎস যে নীতি-ব্যবস্থা তা পরিবর্তন করে তার জায়গায় বিকল্প নীতি-ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে।

বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র। উন্নয়নের ডামাডোল চালাতে চালাতে ১০ বছর ধরে দেশে অগণতান্ত্রিক শাসন বহাল রেখে গণতন্ত্রের শেষ খুটি সেটাও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে। শেষ মূহুর্তে এসে ৩ টি অগণতান্ত্রিক আইন পাস করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে তারা আবারো ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন গুলো বলে ভোটের কোন পরিবেশ নেই। সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই, যার কারণে প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর হামলা করছে, মামলা দিচ্ছে। সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি করে নির্বাচন করতে চাইলে সরকারের পদত্যাগ করতে হবে, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন দিতে হবে, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের বগুড়ার সমন্বয়ক জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না বলেন, দেশে এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাকে একই অবস্থায় রেখে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়। শাসকদল স্বতপ্রণোদিত হয়ে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ রচনা করে দেবে তা সম্ভব না। ফলে এখন প্রয়োজন গণতান্ত্রিক শাসনের উপযোগী আমূল সংস্কার।


আরো বক্তব্য রাখেন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন দুলাল, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য মোমিনুর রহমান, গণসংহতি আন্দোলন নেতা মুরাদ মোর্শেদ, বাসদ বগুড়া জেলা আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পল্টু, কমিউনিস্ট পার্টি জেলা সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ, গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়কারী আব্দুর রশিদ, বাসদ( মার্কসবাদী) জেলা সদস্য আমিনুল ইসলাম ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা সমন্বয়ক শাহাদৎ হোসেন শান্ত।