সাবেক এমপি রানার জামিন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০১৯ ০৭:২৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৫ বার।

 

টাঙ্গাইলে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রানার জামিনের বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। খবর ঃ সমকাল অনলাইন।

আদালতে রানার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ।

এ আদেশের ফলে সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তিতে আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙাইল শহরের কলেজপাড়া এলাকার নিজ বাসার কাছে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনদিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে এ মামলায় এমপি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। একই বছরের ৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন রানা। তবে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় গত বছরের ১৬ জানুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। আটক হওয়ার পর আড়াই বছরে তিনি কয়েক দফা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি নিয়ে তা বাতিল করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এরপরেও সম্প্রতি তিনি হাইকোর্ট ফের জামিনের আবেদন করেন।

অন্যদিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ গত বছরের ১১ মার্চ, শাহাদত হোসেন ১৬ মার্চ এবং হিরন মিয়া ২৭ এপ্রিল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে তারা বলেন, এমপি রানার দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে আলোচিত এ মামলায় রানাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়।