আলোচনার পথে নতুন করে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০১৯ ০৯:০৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৩ বার।

 

বাণিজ্য বিরোধ নিয়ে নতুন করে আলোচনার পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর মধ্যকার আসন্ন বৈঠককে সামনে রেখে এ ধরনের আলোচনার কথা বিবেচনা করছে দুই দেশের কর্তৃপক্ষ।  খবর ঃ বাংলা টিব্রিউন।

 

মঙ্গলবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, জাপানের ওসাকায় জি২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে দুই নেতার বৈঠকের জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ।

 

এর আগে চীনের পক্ষ থেকে দুই নেতার সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও ভেন্যু নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় দেশটির কর্তৃপক্ষ।

 

টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে টেলিফোনে চমৎকার কথা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে জাপানে জি২০ সম্মেলনে আমাদের একটি বিশদ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের আগে আমাদের টিম এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু করবে।

 

এমন সময়ে দুই নেতার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে উভয় দেশের সম্পর্কে অস্বস্তি বিরাজ করছে। বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র চীনের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে অবজ্ঞা করেছে বলে মন্তব্য করেছে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির দলীয় সাময়িকী কুয়োশি। গত রবিবার কমিউনিস্ট পার্টির মতাদর্শিক এই সাময়িকীতে প্রকাশিত এক মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ নিরসনের আলোচনায় মূল নীতিতে ছাড় দেবে না চীন। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক যুদ্ধের জন্য বেইজিং প্রস্তুত রয়েছে।

 

চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে গত বছর থেকে বেইজিংয়ের রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ আর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নামের কথিত সংরক্ষণশীল নীতির ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বেইজিং-ও মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে। এই বাণিজ্য যুদ্ধ নিরসনে চলতি বছরের মে মাসে ওয়াশিংটন-বেইজিং আলোচনায় বসলেও কোনও চুক্তি ছাড়াই শেষ হয় তা। আসন্ন ট্রাম্প-শি জিনপিং বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

 

রবিবার কুয়োশি-তে প্রকাশিত মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিরোধের তীব্রতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ধরনের হুমকি বা চাপের মুখে চীন ভীত হবে না। চীনের সামনে যেমন কোনও বিকল্প নেই, তেমনি এড়িয়ে যাওয়ার কোনও উপায়ও নেই, কেবল শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা শক্তির চীনা জনগণের এই ইস্পাত কঠোর প্রতিজ্ঞাকে খাটো করে দেখা উচিত হবে না।’

 

যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে কুয়োশির মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব ওয়াশিংটনের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের যুগে বাণিজ্যিক সুরক্ষা হলো বিষ, কোনও সর্বরোগের ওষুধ নয়। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন খরচ বাড়াবে, আর মার্কিন ভোক্তাদের মূল্যস্ফীতির দিকে ঠেলে দেবে। গুটি কয়েক মার্কিন নাগরিক বাণিজ্য বিরোধের কারণে সুবিধা পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ দুর্ভোগে পড়বে।