বগুড়ায় কনস্টেবল নিয়োগের নামে প্রতারণার অভিযোগে ১ ব্যক্তি গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০১৯ ১২:৩২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪২৬ বার।

বগুড়ায় পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে কলেজ ছাত্রের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আহসানুল কবির (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আহসানুল কবির পাবনা জেলা সদরের চক পৈলানপুর গ্রামের মৃত শামছুদ্দিনের ছেলে। 
পুলিশ জানায়, বগুড়ার কাহালু উপজেলার সাকোহালি গ্রামের মাকছুদুর রহমানের ছেলে আফিস খান স্থানীয় একটি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পড়ালেখা করে। তার সাথে আহসানুল কবিরের পরিচয় হলে সে তাকে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পাইয়ে দিতে চায়। এজন্য ৬ লাখ টাকা দাবি করে। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি সে আসিফ খানের পরিবারের কাছ থেকে নগদ ৯২ হাজার টাকা নেয় এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়লে বাকি টাকা দিতে হবে বলেও জানায়। সম্প্রতি বগুড়াসহ সারাদেশে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আহসানুল কবির বাকি টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার সাব ইন্সক্টের সুমন কুমার জনান, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ১০০ টাকা ছাড়া আর কোন টাকা খরচের প্রয়োজন নেই। বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার নির্দেশে এ সংক্রান্ত ঘোষণা সম্বলিত পোস্টার শহর জুড়ে সাটানো হয়েছে। বিষয়টি জানার পর আসিফ খানের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে সে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার নামে আহসানুল কবিরের ৬ লাখ টাকা দাবি এবং ৯২ হাজার টাকা নেওয়ার কথা জানায়। বাকি টাকার জন্য ওই ব্যক্তি তাকে বার বার চাপ দিচ্ছে বলেও সে জানায়। তখন ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের জন্য আফিসকে কৌশলী হতে বলা হয়। বাকি টাকা নেওয়ার জন্য তাকে আসিফের মাধ্যমে বুধবার দুপুরে কলোনীর একটি এলাকায় আসার জন্য বলতে বলা হয়। এস আই সুমন কুমার বলেন, আগে থেকেই একদল পুলিশ কলোনীর সেই নির্ধারিত জায়গায় ওঁৎ পেতে থাকে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টাকা নিতে আহসানুল কবির যখন আফিস খানের কাছে যায় তখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়।’
এস আই সুমন কুমার বলেন, ‘আহসানুল কবির এক সময় বিদেশে ছিল। এখন প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই তার মুল পেশা। গ্রেফতারের পর আসিফ খানের চাচা মশিউর রহমান বাদী হয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার আহসানুল কবিরের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করেছেন।