বিএনপি আবারও জেগে উঠবে: ফখরুল

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০১৯ ১৫:৩৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৯ বার।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে সরকারের তাবেদার ও কোমড় ভাঙ্গা কমিশন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির আয়োজনে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় মাঠে দলের কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর সমকাল অনলাইন 

এ সময় এই নির্বাচন কমিশনকে পরিবর্তন করে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, সরকার বিচার বিভাগে নিয়ন্ত্রণ করে জামিন ও রায় দিচ্ছে। এই নির্দেশনা আসছে আইন মন্ত্রণালয় থেকে। সেই নির্দেশনায় খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বন্দুক, পিস্তল ও রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে আছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিএনপি আবারও ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠবে।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, উনাদের হুকুমে ব্যাংকের মালিকানা চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। পত্র-পত্রিকায় দেখা যায় একজন ব্যক্তি ৯টি ব্যাংকের মালিক হয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রিজার্ভ হাইজাক হয়ে যাচ্ছে; যেটা আমেরিকার রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা আছে। ওইখান থেকে ৮শ কোটি টাকা হাইজাক হয়ে গেছে। হ্যাক করে নিয়ে গেছে। ব্যাংকে  গচ্ছিত সোনা তামা হয়ে যাচ্ছে। বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি হতে হাজার হাজার টন কয়লা ছাই হয়ে যাচ্ছে। পাথর হাওয়া হয়ে যাচ্ছে।

ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশকে লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের নাম নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি রাখা উচিত।

মির্জা ফখরুল গ্রাম পর্যায়ে ভিজিডি-ভিজিএফ ধান-গম ইত্যাদি আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে বিতরণের বর্ননা দিয়ে বলেন, বর্তমানে সর্বত্র দলীয়করণ চলছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কোন উপায় নেই। কোথায় যাবেন, কার কাছে যাবেন?

নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। কাজ করছি; সব সময় যে সফল হচ্ছি তাও না। কিন্তু এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেছিল। বাকশাল চালু করেছিল। সকল পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। এবার সে ব্যবস্থা না করলেও অটো বাকশাল কায়েম করেছে।

ফখরুল বলেন, এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে। অঙ্গ-সংগঠন গুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। কারণ আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করবো। মানুষের জন্য সংগ্রাম করবো এবং একদিন সেই সংগ্রামে জয়ী হবো ইনশাল্লাহ ।

তিনি বলেন, আজকে এই সরকারের অত্যাচার থেকে মুক্ত পেতে হলে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হলে সংগঠনকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য  আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রাজিউর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মী সভায় আরও বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, জেলা যুবদলের অহব্বায়ক মাহবুবুর রহমান তুহিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস প্রমুখ ।