ডিজিটাল ইকোনমি শ্রমশক্তিতে বিশ্বে ২য় বাংলাদেশ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০১৯ ০৪:৪০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০১ বার।

ডিজিটাল ইকোনমিতে দারুণভাবে অবদান রাখতে শুরু করেছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। এর মধ্যে অনেক উন্নত দেশকেও ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। গ্লোবাল মার্কেটে আউটসোর্সিংয়ে তুলনাহীনভাবে এগিয়ে আছে এশিয়া। সেখানে উজ্জ্বল হয়ে আছে বাংলাদেশের নাম।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমি ফোরামের এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অনলাইন শ্রমশক্তির সবচেয়ে বড় সাপ্লাইয়ার হচ্ছে ভারত যাদের আছে প্রায় ২৪ শতাংশ গ্লোবাল ফ্রিল্যান্সার ওয়ার্কার।

এরপরেই বাংলাদেশ যাদের অবদান হচ্ছে ১৬ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র, যাদের ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে ১২ শতাংশ।

সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তিই শুধু অর্জন নয়, স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান ও ঝুঁকিমুক্তভাবে স্বল্প খরচে গ্লোবাল মার্কেটে অবদান রাখছে বাংলাদেশ। ফলে ছাড়িয়ে যেতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত রাষ্ট্রগুলোকেও।

ফ্রিল্যান্সিং পেশার মধ্যে আছে- কম্পিউটার প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে ওয়েব ডিজাইন পর্যন্ত। আছে ট্যাক্স প্রিপারেশন এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মতো কাজও।

পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং সাপোর্টে বেশ শক্ত অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। এর আছে রাইটিং অ্যান্ড ট্রান্সলেশন, ডাটা এন্ট্রি, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, প্রফেশনাল সার্ভিসের মতো কাজগুলো।

ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করার কয়েক বছরের মধ্যেই বৈশ্বিক বাজার দখলে বেশ ভালোই ভূমিকা রাখতে শুরু করে বাংলাদেশ।

ধীরে ধীরে ফ্রিল্যান্সিং এখন বাংলাদেশে জনপ্রিয় পেশায় পরিণত হচ্ছে। নতুন আয়ের পথ খুলে দিয়ে এটি মানুষের জীবনযাপনেও পরিবর্তন আনছে।

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট (ওআইআই) সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে এখন পাঁচ লাখ ফ্রিল্যান্সার নিয়মিত কাজ করছেন। পাশাপাশি নিবন্ধন ছাড়া কাজ করছে আরও সাড়ে ছয় লাখেরও বেশি।

ফ্রিল্যান্সিং থেকে বছরে ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হচ্ছে বলে বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

মূলত ফ্রিল্যান্সিংয়ে আছে অনেক ধরনের সুবিধা। ফলে বিপুলসংখ্যক বেকার তরুণ এই খাতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে।

এ পেশায় রয়েছে কাজের স্বাধীনতা, ক্লায়েন্ট ও প্রজেক্ট বাছাই এবং বৈশ্বিক বাজারে কাজ করার সুযোগ আর যে কোনো জায়গায় বসে কাজ শেষ ব্যবস্থা। ফলে বিশ্বের অন্যতম যানজটের রাজধানী ঢাকা শহরে এড়ানো যাচ্ছে বিড়ম্বনা, বাঁচছে সময়ও।