পুলিশে নিয়োগের নামে লাখ টাকা আদায়: বগুড়া মোঃ আলী হাসপাতাল কর্মচারী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২১ জুন ২০১৯ ১২:৫৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৯৬ বার।

পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বগুড়ায় আনোয়ার হোসেন (৩৩) নামে সরকারি হাসপাতালের এক কর্মচারীকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার সকালে শহরের চকফরিদ এলাকায় বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 
পুলিশ জানায়, জেলার গাবতলী উপজেলার আব্দুল মালেকের ছেলে আনোয়ার হোসেন বগুড়ার ২৫০ শয্যা মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের রেকর্ড কিপার হিসেব কর্মরত। গ্রেফতার আনোয়ার সুজন মাহমুদ (১৯) নামে এক যুবককে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন। ওই ঘটনায় সুজন মাহমুদের ভগ্নিপতি রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এজাহারে মামলার বাদী রাশেদুর রহমান অভিযোগ করেছেন, তানভির আহম্মেদ রঞ্জু নামে তার এক ভগ্নিপতির সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ১১ জুন সকালে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে তার কর্মস্থল মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে গিয়ে তারা দেখা করেন। রাশেদুর রহমান জানান, তিনি তার শ্যালক সুজন মাহমুদকে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের চেষ্টা করছেন জেনে আনোয়ার হোসেন কাজটি করে দিবেন বলে জানান।  এজন্য আনোয়ার তার কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। নিয়োগের আগে ২ লাখ এবং চাকরি হওয়ার পর বাদবাকি ১৩ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। তবে  পরবর্তীতে আনোয়ার হোসেন ১৪ লাখ টাকায় নিয়োগ দিতে সম্মত হন এবং এজন্য নগদ ১ লাখ টাকা দাবি করেন।
এজাহারে রাশেদুর রহমান জানান, পুলিশ কনস্টেবল পদে তার শ্যালকের নিয়োগ নিশ্চিত করতে মৌখিক চুক্তি অনুযায়ী তিনি গত ১৩ জুন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে গিয়ে আনোয়ার হোসনকে ১ লাখ টাকা দিয়ে আসেন। এজাহারে তিনি বলেন, ‘পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আনোয়ার হোসেন ওই টাকা তার শ্বশুরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করেছে। এরপর তার প্রতারণা সম্পর্কে নিশ্চিত হই। এরপর ২১ জুন মামলা দায়ের করি।’
বগুড়ায় ডিবির ওসি আছলাম আলী জানান, আগামী ৩ জুলাই পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। ওই নিয়োগের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের সরকার নির্ধারিত ১০০ টাকা ফি ছাড়া আর কোন টাকা খরচ করতে হবে না বলে এরই মধ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা জুড়ে পোস্টারিং করা হয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে প্রতারকদের তৎপরতাও গভীরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল কর্মচারী আনোয়ার হোসেনের প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নজরে আসে। ওই ঘটনায় মামলা হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, গ্রেফতার আনোয়ার হোসেন ওই প্রতিষ্ঠানে রেকর্ড কিপার হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘তাকে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ডেকে নেওয়া হয়েছে বলে আমরা শুনেছি।’