যে কারণে ইরান হামলা থেকে পিছু হটেন ট্রাম্প!
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
ইরানে হামলার নির্দেশ দিয়েও শেষ মুহূর্তে পিছু হটেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামলার আগ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণ টুইটারে নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের দাবি, হামলায় দেড়শ’ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা থাকায় হামলা না করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
টুইটারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “তারা (ইরান) সোমবার আন্তর্জাতিক জলসীমার ওপর উড্ডয়নরত একটি চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) ভূপাতিত করে। আমরা গতরাতে (শুক্রবার) তিনটি স্থাপনায় হামলা প্রায় করেই ফেলছিলাম।”
“যখন আমি জানতে চাইলাম- কতজন মারা যাবে, একজন জেনারেল বললেন- স্যার, ১৫০ জন। হামলার ১০ মিনিট আগে আমি সেটা থামিয়ে দিই। কারণ, একটি ড্রোন ভূপাতিত করার জবাবে এমনটা (প্রাণঘাতী হামলা) যথাযথ নয়” যোগ করেন তিনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, “আমার এত তাড়া নেই। আমাদের সেনাবাহিনী পুনঃপ্রস্তুতি নিচ্ছে, নতুনভাবে এবং তারা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় অভিযানে যেতে প্রস্তুত তাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য নিয়ে।”
ইরানকে উদ্দেশ করে তিনি আরও লিখেন, “নিষেধাজ্ঞা তাদের কাবু করতে শুরু করেছে এবং গতরাতে আরও নিষেধাজ্ঞা যোগ হয়েছে। ইরান কখনো পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না, সেটা না আমাদের বিরুদ্ধে না বিশ্বের বিরুদ্ধে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার হরমুজ প্রণালির আকাশসীমায় ড্রোনটিতে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ১৩০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করে ইরানের বিপ্লবী গার্ড।
এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে নতুন করে সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ড্রোন ধ্বংস করে ইরান ‘বড় ভুল’ করেছে বলে হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প।
এর পরেই প্রাথমিকভাবে ইরানের রাডার ব্যবস্থা এবং মিসাইল ব্যাটারিতে আঘাত হানার অনুমোদন দেন তিনি। শুক্রবার সকালে এই হামলা হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে এ সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসেন তিনি।
পরে ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান ইচ্ছাকৃতভাবে এ হামলা চালিয়েছে তা বিশ্বাস করা কঠিন। দুর্ঘটনাবশত ড্রোনটি হামলার শিকার হয়েছে। তবে ওমানের মাধ্যমে ইরানকে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।