পার্লামেন্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার ঘেরাও
হংকংয়ে ফের চাঙ্গা বিক্ষোভ
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
হংকংয়ে সাময়িক বিরতির পর ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বিক্ষোভের আগুন।
চীনের সঙ্গে বিতর্কিত বন্দি প্রত্যর্পণ বিল বাতিল, সরকার প্রধান ক্যারি লামের পদত্যাগ ও আটক আন্দোলনকারীদের মুক্তির দাবিতে শুক্রবার পার্লামেন্টসহ পুলিশ সদর দফতর ঘেরাও করেছেন হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা।
বিক্ষোভে জরুরি সেবাগুলো মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে কারণ দেখিয়ে বিক্ষোভকারীদের পিছু হটার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।
তাদের কথা কানে তুলছেন না বিক্ষোভকারীরা। নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা বিক্ষোভে এবার সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্ররা। সূ্ত্র এফপি।
হংকংয়ের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের সময়সীমা বেঁধে দেয়। বৃহস্পতিবা সময় শেষ হলে শুক্রবার ফের রাজপথে নামে তারা।
বিতর্কিত বন্দি প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে সপ্তাহব্যাপী কয়েক লাখ বিক্ষোভকারী আন্দোলন করে আসছেন। ১২ জুন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৭২ জন আহত হয়েছেন।
যাদের মধ্যে দুই নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২১ জন পুলিশও আহত হয়েছেন। এ পর্যন্ত ৩২ আন্দোলনকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে বিতর্কিত বন্দি প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে আন্দোনলকারীরা হংকংয়ের রাস্তার আবর্জনা পরিষ্কার করে প্রশংসা কুড়ান। প্রায় বিশ লাখ প্রতিবাদকারী সারা রাত ধরে সেই পরিষ্কার অভিযানে অংশ নেন। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে সাবেক আইনজীবী ও আন্দোলনকারী লি চেয়াক ইয়ান বলেন, ‘ল্যাম আমাদের কথা না রাখায় আমরা খুব রাগান্বিত।
এখন আমাদের কৌশলগত দিক নিয়ে কথা বলার সময়। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় আবারও রাস্তায় নেমে এসেছে। এ আন্দোলন চলতে থাকবে বলে জানান তিনি।’
আন্দোলনের মুখে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের সঙ্গে বিতর্কিত বন্দি প্রত্যর্পণ বিল স্থগিতের ঘোষণা দেন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম।
কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হননি বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই, ক্যারি লামকে অবশ্যই অফিস ত্যাগ করতে হবে। বিতর্কিত বন্দি প্রত্যর্পণ বিল বাতিল করতে হবে।
সহিংস আক্রমণের জন্য পুলিশকে ক্ষমা চাইতে হবে।’ সপ্তাহব্যাপী ওই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ৭২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসে তারা আহত হন। হংকংয়ের পার্লামেন্টে চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত ল্যাম ও তার দলীয় আইনপ্রণেতারা বন্দি প্রত্যর্পণ আইন পাসের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
প্রস্তাবিত বিলটিতে পলাতক অপরাধীদের বিচারের জন্য চীনে প্রত্যাবাসনের বিধান রাখা হয়েছিল। প্রস্তাবিত এ বিল নিয়ে আলোচনা শুরুর পর থেকেই শহরের অর্থনৈতিক কেন্দ্রস্থলটি অচল হয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সালের মধ্যে অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে চীন প্রশাসন।