ভোট পড়েছে সাড়ে ৩৪ শতাংশ

বগুড়ায় বিএনপি প্রার্থী জি এম সিরাজ বিজয়ী

অরূপ রতন শীল ও দোস্ত আউয়াল
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০১৯ ১৪:০৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৭৪ বার।

বগুড়া-৬ (সদর) শূন্য আসনের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ৮৯ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত টি জামান নিকেতা নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৯৭ ভোট। সোমবার রাত. সোয়া ৮ টায় নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুম থেকে ভোটের চুড়ান্ত বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার মাত্র সোয়া তিন ঘন্টার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
শহরের খান্দার এলাকায় শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একটি কক্ষে খোলা সেই কন্ট্রোল রুমে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়া জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ্্ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৩৪ দশমিক ৫৫  শতাংশ। ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৭০ জন। 
বগুড়া-৬ (সদর) আসনে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ওই নির্বাচনে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৭৯জন ভোটারের মধ্যে ২লাখ ৫৭ হাজার ৪৭৬জন ভোট দিয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২ লাখ ৭ হাজার ২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তখন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বতী মহাজোট সমর্থিত জাতীয় পার্টি মনোনীত নুরুল ইসলাম ওমর পেয়েছিলেন ৪০ হাজার ৩৬২ ভোট।
২০১৮সালের নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্ধারিত সময়ে তিনি শপথ গ্রহণ না করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, মুসলিম লীগ ও বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীতসহ মোট ৬ প্রার্থী অংশ নেন। নির্বাচনে ১৪১টি কেন্দ্রের সবগুলোতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হয়। মোট ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮জন।
 নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় সাড়ে ৩ হাজার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়। মোতায়েন করা হয় ১৫ প্লাটুন বিজিবি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৪১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়।

প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থীরা যত ভোট পেলেন

জাতীয় পার্টি মনোনীত নুরুল ইসলাম ওমর লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ২৭১ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত ড. মনসুর রহমানের ডাবে পড়েছে ৪৫৬, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের রফিকুল ইসলামের হারিকেনে ৫৫৪ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ মণ্ডলের আপেল প্রতীকে  পড়েছে ২ হাজার ৯২০ ভোট। এদিকে প্রার্থীতা চুড়ান্ত হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেকে নির্বাচন থেকে গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু। তবে ইভিএম মেশিনে তার প্রতীক ট্রাক থেকে যায়। ট্রাকে পড়েছে ৬৩০ ভোট।

ফলাফল ঘোষণার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা সুষ্ঠু পরিবেশে ইভিএমে ভোট প্রদানে অংশ নেওয়ায় ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘সবার অংশগ্রহণে আমরা সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পেরেছি।’