সদরের শূন্য আসনে নির্বাচন

বগুড়ায় সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপসহ  পাঁচ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০১৯ ১০:০৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪১৬ বার।

বগুড়া-৬ (সদর) শূন্য আসনে নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ভোট না পাওয়ায় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চীপ হুইপ ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম ওমরসহ প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অপর ৪ প্রার্থী হলেন- মুসলিম লীগের মুফতি রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ড. মনসুর রহমান এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ মন্ডল ও সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু। এদের মধ্যে অবশ্য শেষোক্ত জন ভোটের ক’দিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ্ জানান, নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ না পাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী ওই পাঁচ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। জামায়নত বাজেয়াপ্ত হওয়া সাবেক সাংসদ জাতীয় পার্টি নেতা নুরুল ইসলাম ওমর ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বগুড়া-৬ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মনোনীত হন। ২৪ জুন সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি ৭ হাজার ২৭১ ভোট পান।
ওই নির্বাচনে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮ ভোটারের মধ্যে ৩৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৭০জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ৮৯ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত টি জামান নিকেতা পান ৩২ হাজার ২৯৭ ভোট।  
নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, প্রার্থীতার জন্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া জামানত হিসেবে দেওয়া ফেরত পেতে হলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ বা ১৬ হাজার ৭৩৪ ভোট পেতে হতো। কিন্তু বগুড়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী ৭ প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজনই ওই পরিমাণ ভোট পাননি। সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা ও বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, প্রয়োজনীয় ভোট অর্জন করতে না পারায় ওই পাঁচ প্রার্থী জামানত হিসেবে নির্বাচন কমিশনে যে ২০ হাজার টাকা করে জমা দিয়েছিলন তা বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে।