বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট ৪ জুলাই

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০১৯ ১৪:৫৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭৭ বার।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চলতি মৌসুমের প্রথম হজ-ফ্লাইট আগামী ৪ জুলাই। ওইদিন সকাল সোয়া ৭টায় ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে বিজি-৩০০১ ফ্লাইটটি।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী ফ্লাইটের হজযাত্রীদের বিদায় জানাবেন। খবর সমকাল অনলাইন 

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

একই দিনে হজ-ফ্লাইট বিজি-৩১০১ সকাল এগারটা ১৫ মিনিটে, বিজি-৩২০১ বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে, বিজি-৩৩০১ রাত ৯টা ১৫ মিনিটে এবং শিডিউল ফ্লাইট বিজি-০০৩৫ রাত ৮টা ১৫ মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে।

নির্ধারিত সময়ে, নির্বিঘ্নে হজ্জ-ফ্লাইট পরিচালনার সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। চট্টগ্রাম এবং সিলেট থেকেও এবছর যথাক্রমে ১৯ টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

বাংলাদেশ থেকে এ বছর প্রায় এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ-যাত্রী পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন।

এ বছর হজ-ফ্লাইট ও শিডিউল ফ্লাইটে বিমানে যাবেন মোট ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন হজযাত্রী। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭ হাজার ১৯৮ ব্যালটি আর ৫৬ হাজার ৪০১ নন-ব্যালটি হজ যাত্রী যাবেন বেসরকারীিব্যবস্থাপনায়।

এবার হজ যাত্রীদের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে পরিবহনের জন্য বিমানের চারটি নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিমানের নিয়মিত শিডিউল ফ্লাইটেও হজ্জ-যাত্রীরা পবিত্র ভূমি জেদ্দায় যাবেন।

ঢাকা থেকে জেদ্দা প্রতি ফ্লাইটের উড্ডয়নকাল হবে আনুমানিক ৭ ঘন্টা। দুই মাস ব্যাপী হজ্জ-ফ্লাইট পরিচালনায় শিডিউল ফ্লাইটসহ মোট ৩৬৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-জেদ্দা উভয় স্থানেই বিশেষ ব্যবস্থার আয়োজন করেছে।

প্রথমবারের মতো এবছর কিছু ফ্লাইটের জেদ্দা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ঢাকা থেকেই সম্পন্ন করা হবে। এ উদ্দেশে সৌদি আরবের একটি ইমেগ্রেশন টিম ঢাকায় অবস্থান করবে।

বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, প্রত্যেক হজযাত্রী বিনামূল্যে সর্বাধিক দুই পিস ৪৬ কেজি মালামাল বিমানে এবং কেবিন ব্যাগেজে ৭ কেজি মালামাল সঙ্গে নিতে পারবেন। কোন অবস্থাতেই প্রতি প্রিস ব্যাগেজ এর ওজন ২৩ কেজির বেশি হবেনা।

তিনি জানান, প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য পাঁচ লিটার জমজমের পানি ঢাকা/চট্টগ্রাম/সিলেট নিয়ে আসা হবে এবং প্রত্যেক হাজীদেরকে ঢাকা/চট্টগ্রাম/সিলেট ফেরৎ আসার পর তা দেওয়া হবে। কোন অবস্থাতেই হাজিগণ সঙ্গে করে বিমানে পানি বহন করতে পারবেন না।

তাহেরা খন্দকার বলেন, যে কোনও ধারালো বস্তু যেমন-ছুরি, কাঁচি, নেইল কাটার, ধাতব নির্মিত দাঁত খিলন, কান পরিস্কারক, তাবিজ ও গ্যাস জাতীয় বস্ত যেমন এ্যারোসল এবং ১০০ (এম এল)-এর বেশি তরল পদার্থ হ্যান্ড ব্যাগেজে বহন করা যাবে না এবং কোন প্রকার খাদ্য সামগ্রী সঙ্গে নেওয়া যাবে না। ব্যাগেজ স্যুটকেস অথবা ট্রলিব্যাগ হতে হবে। যে কোন অবস্থায় গোলাকৃত, দড়িবাঁধা ব্যাগ ইত্যাদি বিভিন্ন আকৃতির ব্যাগেজ গ্রহণযোগ্য হবেনা।