সংবাদ সম্মেলনে আদিবাসী ফোরামের স্থানীয় নেতার অভিযোগ

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী না হয়েও বগুড়ায়  তাদের নামে সংগঠন খুলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০১৯ ১২:৫৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২২৩ বার।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত না হয়েও বগুড়ায় তাদের নামে সংগঠন বা সমিতি খুলে ওই জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের বরাদ্দ করা অর্থ সহায়তাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম বগুড়া জেলা শাখার আহবায়ক বাসুদেব বাগদী বুধবার দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ উত্থাপন করেন। 
লিখিত বক্তব্যে বাসুদেব বাগদী বলেন, বর্তমানে সরকারি গেজেটে ৫০টি জাতিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়ার কোচ, খাসি, ডালু, বর্মণ, সাঁওতাল, মাহাতো, গঞ্জু, গুর্খা, তেলী, তুরি, পাত্র ও বাগদী জনগোষ্ঠীর অন্তত সাড়ে ১১ হাজার মানুষ বসবাস করেন। অবহেলিত এসব জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে শ্মশান সংস্কার, নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করার মত অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ছেলে-মেয়েরা যাতে পড়ালেখা করতে পারে সেজন্য শিক্ষা উপবৃত্তি, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর এক কালীন ২৫ হাজার টাকা প্রদান এবং চাকরি ক্ষেত্রে সরকারি কোটাও সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
আদিবাসী ফোরামের স্থানীয় নেতা বাসুদেব বাগদী অভিযোগ করেন, সরকারি এসব সুযোগ-সুবিধা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বগুড়ার ধুনট, গাবতলী ও সারিয়াকান্দি উপজেলার কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নাম ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন সংগঠন বা সমিতি দাঁড় করিয়েছে। এমনকি ভুয়া আদিবাসী সেজে উপজেলা সমাজসেবা ও সমবায় অফিস থেকে সমিতির রেজিস্ট্রেশন করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। অথচ এসব গোষ্ঠীর নাম সরকারি গেজেটে নেই। তাদের কারণে প্রকৃত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি অবৈধ ওইসব সংগঠন বা সমিতির রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে বাসুদেব বাগদী বলেন, ‘রবিদাস’, ‘হাওলাদার’ ও ‘কোলাই’ জাতিগোষ্ঠীর নাম সরকারি গেজেটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বগুড়ায় ওইসব জাতিগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী দেখিয়ে কয়েকটি সংগঠন খুলে তার রেজিস্ট্রেশন নেওয়া হয়েছে।