এক গ্রহাণুই পৃথিবীর সব মানুষকে বিলিয়নিয়ার করে দিতে পারে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০১৯ ১৩:২৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩০১ বার।

সোনার উৎপত্তি রহস্য এখনো উন্মোচিত করতে পারেনি পৃথিবীবাসী। কীভাবে মূল্যবান এ ধাতু তৈরি হয় সেটি জানা না গেলেও আরেকটি পাথরকে ঘিরে আগ্রহ জমতে শুরু করেছে গবেষকদের মধ্যে।

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানায়, এক ধরনের গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছেন গবেষকেরা। ছোট এক খণ্ডের দামই ৭০০ ডলার, বাংলাদেশি মূল্যে যা প্রায় ৬ হাজার টাকা।

মহাশূন্যে গ্রহাণু সংগ্রহের প্রজেক্ট চালু করা গেলে এই গ্রহাণুটি বিপুল পরিমাণে আহরণ করা সম্ভব।

দশটি ভারী গ্রহাণুর মধ্যে একটি হচ্ছে সাইকি সিক্সটিন। এটিকেই সেই মূল্যবান গ্রহাণু বলছেন গবেষকেরা। এই গ্রহাণুটিতে প্রচুর পরিমাণে সোনা, লোহা এবং নিকেল রয়েছে।

মঙ্গল ও বুধ গ্রহের মধ্যকার স্থানে এই গ্রহাণু থাকে। ওই জায়গায় যে পরিমাণ গ্রহাণু আছে তারা এত বেশি ধাতু ধারণ করে যে, তার মাধ্যমে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের প্রায় এক ট্রিলিয়ন (এক লাখ কোটি) ডলারের মালিক হওয়া সম্ভব।

২০২২ সাল থেকে ওই গ্রহাণু আহরণের পরিকল্পনা করছে।

সোনা আহরণের বিশ্বের প্রধানতম কোম্পানি ইউরোসান মাইনিংয়ের প্রধান নির্বাহী স্কট মুর বলেন, একশ'রও বেশি প্রোডাক্ট প্রস্তুতি নিয়ন্ত্রণ করে সোনা। কিন্তু ৪-৫ মিলিয়ন আউন্স সোনা প্রতি বছর মার্কেটে আসে। সে তুলনায় মহাকাশে অমূল্য ধাতু একেবারে সহজলভ্য।

আগামী কয়েক দশকে বিপুল পরিমাণে সোনা আহরণের জন্য মাটির নিচে নয়, পৃথিবীর বাইরের দিকে নজর দিতে হবে।