হাসপাতালে বিয়ে, ৩০ সেকেণ্ড পরেই সন্তানের বাবা-মা।

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০১৯ ১৪:২০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৫ বার।

বিয়ে এবং সন্তান প্রাপ্তি –দুটি ঘটনাই মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু দুটি ঘটনা যদি কারও জীবনে একই সঙ্গে ঘটে তখন পরিস্থিতি কেমন দাঁড়ায়?

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির বাসিন্দা মাইকেল গ্যালাড্রো এবং মারি মার্গারিটোনডোর জীবনে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে।তাদের বিয়ে ও সন্তান প্রাপ্তির মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল মাত্র ৩০ সেকেণ্ড। 

জানা গেছে, মাইকেল গ্যালাড্রো এবং মারি মার্গারিটোনডোর অনাগত সন্তানের পৃথিবীতে আসার তখনও ৩ সপ্তাহ বাকী ছিল। ওই জুটি সবেমাত্র নতুন একটা বাড়িতে উঠেছিলেন। অনেক জিনিসপত্র তখনও বাক্সবন্দী অবস্থায় ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। মাইকেল ও মারি বিয়ের পরিকল্পনাও করছিলেন।

কিন্তু মানুষ চাইলেই কি সব পরিকল্পনা তার মতো করেই হয়? মাইকেল জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তিনি একটা কাজে বের হয়েছিলেন। হঠাৎ করে মারি তাকে ফোন দিয়ে জানান, তার পানি ভাঙতে শুরু করেছে। প্রথম বিষয়টি দুষ্টামি মনে করেছিলেন মাইকেল।

কিন্তু মারি অনেক সিরিয়াস ভঙ্গীতে বলাতে তিনি দ্র্রুত বাড়িতে ফিরে আসেন এবং মারিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। 

মাইকেল বলেন, ‘মারির অবস্থা জটিল ছিল আর হাসপাতাল থেকে আমাকে কিছু ফরম পূরণ করতে বলেছিল’। তিনি আরও বলেন, ‘যখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানলো আমাদের বিয়ে হয়নি তখন তারা ফরম পূরণ করতে দিতে অস্বীকৃতি জানায়’।

ও্ই সময় চিকিৎসক জানান, ১০ মিনিটের মধ্যে মারিকে অপারেশন রুমে নিয়ে যেতে হবে। মাইকেল আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালের একজন স্টাফের কাছে জানতে চান ওই মুহূর্তে বিয়ে করার কোনও উপায় আছে কিনা?

মাইকেলের অবস্থা দেখে হাসপাতালের নার্সরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। একজন বিয়ে পড়ানোর জন্য পাদ্রী খুঁজে নিয়ে আসেন, আরেকজন হাসপাতালের বাগান থেকে ফুল নিয়ে আসেন। মাইকেল সেই ঘটনা স্মরণ করে বলেন, তাদের প্রত্যেকের চেষ্টা আমাকে মুগ্ধ করেছে।তারা আমাদের জীবনে দেবদূত হয়ে এসেছিলেন। 

খবর পেয়ে মাইকেল আর মারির মায়েরাও হাসপাতালে পৌঁছান। বিয়ের পরিকল্পনার কারণে আগে থেকেই মাইকেল তার গাড়িতে বিয়ের লাইসেন্স এনে রেখেছিলেন। 

পাদ্রী, দুই পক্ষের অভিভাবক, ফুল আর মোবাইলে বাজা মিউজিকের মাধ্যমে হাসপাতালেই মুহূর্তেই বিয়ে হয়ে যায় মাইকেল ও মারির। বিয়ের পর মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে চিকিৎসক জানান, মারিকে তখনই অপারেশন রুমে নিয়ে যেতে হবে। এরপরই মারি একটা পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। 

জানা গেছে, ওই দম্পতি বিয়ের আগেই সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তাদের বয়সের কারণে। মাইকেলের বয়স ৪৫ আর মারির বয়স ৪৪ হওয়ার কারণে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাদের সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে মারি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন। মাইকেল জানান, মারির গর্ভাবস্থা ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় বেশিরভাগ সময়ই সে বিশ্রামে ছিল। 

একই দিনে বিয়ে ও সন্তান প্রাপ্তি নিয়ে মাইকেল জানান, তাদের জীবনে এর থেকে ভাল আর কিছু আর হতে পারে না। ৩ সপ্তাহে আগে জন্মালেও মাইকেল ও মারির সন্তান সুস্থ আছে বলেই জানা গেছে। সূত্র : ইনসাইড এডিশন