প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে বগুড়ায় আ. হক কলেজে ছাত্রলীগের ব্যতিক্রমী আয়োজন

আব্দুল আউয়ালঃ
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:০০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪২৭ বার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে বগুড়ায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে খাবার ও গেঞ্জি বিতরণ করেছে সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে খাবার ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর টুঙ্গিপাড়া গ্রামে  শেখ হাসিনার জন্ম হয়। পিতা শেখ মুজিব তখন কলকাতায় ভারত ভাগের পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দাঙ্গা প্রতিরোধ এবং লেখাপড়া নিয়ে মহাব্যস্ত। দাদা ও দাদীর স্নেহ-আশীর্বাদ নিয়ে তাঁর জীবন শুরু হয়। দাদা তার নাম রাখেন ‘হাসিনা’। মা তাকে বুকের ভেতর মমতায় জড়িয়ে রাখতেন। জন্মের খবর পেয়ে পিতা একদিন হঠাৎ বাড়ি এসে মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে ‘হাসুমণি’ ডেকে আনন্দ প্রকাশ করে কপালে চুম্বন এঁকে দিলেন।


শেখ হাসিনা ১৯৬৫ সালে ঢাকার আজিমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী নেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ও তাঁর বোন শেখ রেহানা বাদে পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়। তাঁরা দু’জন তখন  পড়াশোনার জন্য জার্মানিতে (তৎকালীণ পশ্চিম জার্মানি) অবস্থান করছিলেন। পরে তাঁরা ভারতে চলে যান।  ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তবে দেশে ফেরার আগেই আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আসনে জয়লাভ করে এবং তিনি দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হন। ২০১৪ সালে তাঁর নেতৃত্বে দল পুনরায় ক্ষমতায় আসে।
প্রিয় নেত্রীর ৭২তম জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে বৃহস্পতিবার সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে খাবার ও গেঞ্জি বিতরণ করে ছাত্রলীগ। সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রউফ বলেন, ‘শেখ হাসিনা শুধু একটি নাম নয় তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি বিশ্বমানবতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তিনি শিশুদের পরম বন্ধু। তাই তাঁর জন্মদিনে আমরা সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছি।’