নিষেধাজ্ঞা যুদ্ধ এড়াতে পারে না: ট্রাম্পকে জারিফ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০১৯ ১৪:২৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৭ বার।

ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, তার ভুলধারণা শান্তির ভিত্তিকে নস্যাৎ করে দেবে।

বৃহস্পতিবার রাতে টুইটারে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ট্যাগ করে তিনি বলেন, যুদ্ধের বিকল্প নিষেধাজ্ঞা হতে পারে না, বরং নিষেধাজ্ঞা নিজেই যুদ্ধ।

এর আগে গত সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কার্যালয়কে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়।

গত সপ্তাহে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার পর ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে সামরিক হামলার নির্দেশ দিলেও তা থেকে সরে আসেন ট্রাম্প। ১৫০ মানুষ নিহত হতে পারেন আশঙ্কায় হামলার নির্দেশ থেকে ফিরে আসেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

ইরানের দাবি, ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে মার্কিন ড্রোন ধ্বংস করে ইরান। তবে ওয়াশিংটন এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা বলছে, হরমুজ প্রণালীতে আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে ড্রোনটি উড়ছিল।

এর আগে মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, এটি ট্রাম্প প্রশাসনের হতাশা। নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যুদ্ধাপরাধ।

একই দিন মঙ্গলবার ইরানকে স্বল্প যুদ্ধে মুছে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এদিকে বুধবার ট্রাম্প বলেছিলেন, আলোচনার পথ বন্ধ, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমি শুধু বলছি, যদি কোনো ঘটনা ঘটাই, এটি বেশি বড় হবে না।

এর জবাবে বৃহস্পতিবার এক টুইটে জাভেদ জারিফ বলেন, ইরানের যুদ্ধ স্বল্পকালীন হবে বলে যে দৃষ্টিভঙ্গি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধারণা করছেন, তা অবাস্তব। আর মুছে ফেলার হুমকি পুরোপুরি গণহত্যার হুমকির শামিল।

মোহাম্মদ জাবেদ জারিফ টুইটার বার্তায় বলেন, বিলোপসাধন= গণহত্যা= যুদ্ধাপরাধ। ইরানের সঙ্গে স্বল্প যুদ্ধ ধারণা কাল্পনিক।

চার বছর আগে ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করেছে ইরান। তবে এ চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে সরিয়ে নেয়। এরপর ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ওয়াশিংটন।

পরবর্তী সময়ে পারস্য উপসাগরে মার্কিন রণতরী মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি মার্কিন ড্রোন ইরান ভূপাতিত করার পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গত সপ্তাহের সোমবার ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন প্রশাসন।