বগুড়ায় এসএসসি উত্তীর্ণ দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিল গাক

অসমী কুমার কৌশিক
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০১৯ ০৮:১৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৫৮ বার।

বগুড়ায় হত দরিদ্র পরিবারের এসএসসি উত্তীর্ণ ১০১ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বৃত্তি দিয়েছে বেসরকারি সংস্থা গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক)। শনিবার দুপুরে শহরের বনানী এলাকায় সংস্থার নিজস্ব কার্যালয়ে বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে ১২ হাজার টাকার একটি করে চেক তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ। স্বাগত বক্তব্য দেন গাকের নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার আলমগীর হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বগুড়া জেলা সমাজ সেবা অফিসের সহকারি পরিচালক মোঃ সানাউল হক, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর উপ-পরিচালক এএইচএম রবিউল করিম, গাকের পরামর্শ মোবারক হোসেন তালুকদার ও গাকের পরিচালক পঙ্কজ কুমার সরকার বক্তৃতা করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন গাকের পরিচালক মাহবুব আলম।
গাকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউ-েশনের (পিকেএসএফ)  সহায়তায় ঋণ কর্মসূচীর আওতায় উপকারভোগী সদস্যদের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে যারা ২০১৭ ও ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করেছে তাদেরকেই শিক্ষা বৃত্তির জন্য নির্বাচন করা হয়। অনুষ্ঠানে বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, গাবতলী, ধুনট ও শিবগঞ্জ এবং গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুর ও পলাশবাড়ি উপজেলার ৫৪ ছাত্রী এবং ৪৭ ছাত্রকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ দেশে অতি দারিদ্রদের হার কমছে জানিয়ে বলেন, এক যুগ আগেও দেশে অতি দারিদ্রের হার ছিল ২৬ শতাংশ। সরকারের নেওয়া নানামুখি উদ্যোগের ফলে সে হার এখন ১১ শতাংশে নেমে এসেছে। তিনি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘গাক আজ যে সহায়তা দিল সেটি কাজে লাগিয়ে তোমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সত্যিকার শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। শুধু চাকরির পেছনে ছুটলে হবে না গাকের প্রতিষ্ঠাতার মত নিজেদেরও উদ্যোগী হতে হবে।’
গাকের নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার আলমগীর হোসেন জানান, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই ২০১২ সাল থেকে তারা এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। তিনি  বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে মানসম্মত শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। তাই আমাদের সেই দিকে মনোযোগী হতে হবে। সেক্ষেত্রে গাকের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
পরে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩জন তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তাদের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী সরিফা খাতুন নামে এক শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার বাবা একজন প্রতিবন্ধী। গাকের দেওয়া শিক্ষা বৃত্তির টাকা আমার অনেক উপকারে আসবে।’