বগুড়ার ধুনটে পরীক্ষার হলে অর্ধশত ছাত্রের মাথার চুল কেটে দিলো শিক্ষক!

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০১৯ ১৫:৪০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৫৪ বার।

বগুড়ার ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার হলে প্রায় ৫০জন শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দিয়েছেন দুই শিক্ষক। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে পরীক্ষা বর্জন করেছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা। শনিবার সকাল ১১টায় ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে, ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার সকাল ১০টায় ওই বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার নবম শ্রেণির গনিত-১ ও দশম শ্রেণির গনিত-২ পরীক্ষায় প্রায় ৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা শুরুর ৩০মিনিট পরই শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন ও রিক্তা আক্তার প্রায় ৫০ জন ছাত্রের মাথার আংশিক চুল কেটে দিয়েছেন।

মাথার চুল কাটার ঘটনায় ছাত্ররা অভিযোগ করে জানায়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পর হঠাৎ সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন ও রিক্তা আক্তার শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করে কেঁচি দিয়ে জোরপূর্বক তাদের মাথার চুল কেটে দেয়। এসময় প্রতিবাদ করলে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ তাদের। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অনেকই পরীক্ষা না দিয়ে হল থেকে বেরিয়ে আসে।

সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, 'ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় একটি শৃঙ্খল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে ছাত্রদের পাঠদানের পাশাপাশি জীবন গঠন, নৈতিক শিক্ষা দান করা হয়। বিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্ররা অত্যন্ত শৃঙ্খল। কিন্তু ভোকেশনাল শাখায় বেশ কিছু অনিয়মিত শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা শুধু পরীক্ষার সময় বিদ্যালয়ে আসে। তাদের অনেকের মাথার চুল অনেক লম্বা, বিদ্যালয়ের ড্রেস ব্যবহার করে না। অনেকে বখাটের মত স্কুলে পরীক্ষা দিতে চলে আসে। পরীক্ষার প্রথম দিনই তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর মাথার চুল ছোট করে কাটার জন্য তাদের সম দেওয়া হয়। কিন্তু তারা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মানেনি। একারনে শনিবার কিছু সংখ্যক ছাত্রের মাথার লম্বা চুলের আংশিক কেটে দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা চুল ছোট করতে বাধ্য হয়।'

ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ্ হেল বাকী বলেন, 'অসুস্থ্যতাজনিত কারনে তিনি বিদ্যালয় থেকে ছুটিতে ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে ভোকেশনাল শাখার কিছু শিক্ষার্থীর আচারণগত কারনে বিদ্যালয়ের সুনাম ব্যহত হচ্ছে।'

ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জিন্নাহ্ জানান, ছাত্রদের মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। তাদের চুল কেটে দেওয়ার কারন ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, 'স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'