বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয় প্রক্রিয়াধীন: আইনমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০১৯ ০৯:৪৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৩ বার।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

রোববার সংসদে সরকারি দলের সদস্য আবুল কালাম আজাদের তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে আইন, বিচার ও সংসদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, পলাতক খুনি নুর চৌধুরী কিভাবে কানাডায় বসবাস করছেন (লিগ্যাল স্ট্যাটাস) এ সম্পর্কে তথ্য দিতে কানাডা সরকারকে বাধ্য করতে ফেডারেল কোর্ট অব জাস্টিস এর আদালতে আবেদন করা হয়েছে। পলাতক আসামী রাশেদ চৌধুরীকে আমেরিকা থেকে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক ও আইনী কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। আইনগত বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সেখানে আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, অন্যান্য পলাতক আসামীদের ফিরিয়ে আনতে টাক্সফোর্স কাজ করছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে ইন্টাপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।

সরকারি দলের আরেক সদস্য দিদারুল আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সারাদেশে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সবচেয়ে বেশি মামলা ঢাকায়। ১৩ হাজার ৭৭৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে রাজধানীর ৯টি ট্রাইব্যুনালে। নারায়ণগঞ্জে ১ হাজার ৬৭৯, গাজীপুরে ৩ হাজার ৭৭৮, মানিকগঞ্জে ২ হাজার ৩২১, মুন্সিগঞ্জে ১ হাজার ২১৫, নরসিংদীতে ১ হাজার ৯৯২, কিশোরগঞ্জে ২টি ট্রাইব্যুনাল ২ হাজার ২৩৫, টাঙ্গাইলে ৩ হাজার ৬, ফরিদপুরে ১ হাজার ৮৭২, রাজবাড়ীতে ১ হাজার ১২৬, গোপালগঞ্জে ১ হাজার ৭৯২, মাদারীপুরে ১ হাজার ৪৮৩, শরীয়তপুরে ৩৫৯।

তিনি জানান, ময়মনসিংহে ১ হাজার ৯৫৬, নেত্রকোণায় ২ হাজার ৬৭৩, জামালপুরে ২ হাজার ১২৮, শেরপুরে ১ হাজার ৯০৮, চট্টগ্রামে (৭টি ট্রাইব্যুনাল) ১২ হাজার ৪৭৭, ফেনীতে ১ হাজার ৩৯২, নোয়াখালীতে (২টি ট্রাইব্যুনাল) ৬ হাজার ৬৫৩, লক্ষ্মীপুরে ১ হাজার ৭২৮, কক্সবাজারে ৭ হাজার ৯৫৮, কুমিল্লায় ৪ হাজার ১৬৯, চাঁদপুরে ১ হাজার ৩১০, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪ হাজার ৮৬৯, রাঙ্গামাটিতে ৫২৮, বান্দরবানে ৬২৪, খাগড়াছড়িতে ৩৬২, রাজশাহীতে ১ হাজার ৩২০, নওগাঁয় ২ হাজার ৮৮০, জয়পুরহাটে ৬০৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪২৯, বগুড়ায় ২ হাজার ৭২৯, সিরাজগঞ্জে ৪ হাজার ৪০৮, পাবনায় ১ হাজার ৭৮১, নাটোরে ১ হাজার ৬২৩, খুলনায় ৪ হাজার ৫৩৭ মামলা বিচারাধীন। বাগেরহাটে ৩ হাজার ১৭৮, যশোরে ১ হাজার ৫৫৫, সাতক্ষীরায় ১ হাজার ৬২২, ঝিনাইদহে ১ হাজার ৩১৯, চুয়াডাঙ্গায় ৫৩৮, মেহেরপুরে ৬০৩, কুষ্টিয়ায় ৪১০, মাগুরায় ১ হাজার ৩২, নড়াইলে ৪৭৪, বরিশালে ১ হাজার ৯৮০, ঝালকাঠিতে ৪৫৪, পিরোজপুরে ৭১৯, পটুয়াখালীতে ১ হাজার ৮০২, ভোলায় ৫ হাজার ৩, বরগুনায় ২ হাজার ৬২৩, সিলেটে ২ হাজার ৫৫ , মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৬৪১, সুনামগঞ্জে ১ হাজার ৬৫২, হবিগঞ্জে ৫ হাজার ৬৬৯, রংপুরে ৬ হাজার ৮০, দিনাজপুরে ২ হাজার ৯৩৬, লালমনিরহাটে ১ হাজার ৩৯৪, নীলফামারীতে ৩ হাজার ৭৯৭, পঞ্চগড়ে ৪৭৪, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ হাজার ৫৮৮, গাইবান্ধায় ৩ হাজার ২৩৪, কুড়িগ্রামে ১ হাজার ৯৩৫ মামলা বিচারাধীন।

সরকারি দলের সদস্য আবুল কালাম আজাদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের বিভিন্ন আদালতে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৫ লাখ ৮২ হাজার ৩৪৭। খবর: বাসস