শেরপুরে এবার ৮৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন চলছেঃ প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত কারিগর

শেরপুর উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:৫৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৫৭ বার।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে বগুড়ার শেরপুরে প্রতিমা তৈরীর ধুম পড়েছে। দম ফেলার ফুসরত নেই কারিগরদের। প্রতিমা তৈরী নিয়ে চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তবে এসব প্রতিমার গায়ে এখনও রঙয়ের আঁচর দেয়া হয়নি। কয়েকদিন পর এই কাজটি শুরু করা হবে। একইসঙ্গে পূজা মণ্ডপ সাজানোর পাশাপাশি গোটা পৌরশহরেরকে রঙ-বেরঙয়ের কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দেয়ার কাজ চলবে। এছাড়া প্রতিবারের ন্যায় এবারো প্রতিটি মণ্ডপের সামনে এক একটি বিশালাকৃতির গেটও নির্মাণ করা হবে। লাগানো হবে নানান রঙয়ের বাতি।  

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিমাই ঘোষ জানান, এবার  শেরপুরে ৮৩টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৪টি মণ্ডপে পূজা হবে পৌরসভা এলাকায়। এছাড়া সীমাবাড়ী ইউনিয়নে ৯টি, সুঘাট ইউনিয়নে ২টি, ভবানীপুর ইউনিয়নে ৫টি, মির্জাপুর ইউনিয়নে ৩টি, খানপুর ইউনিয়নে ৬টি, বিশালপুর ইউনিয়নে ১১টি, কুসুম্বী ইউনিয়নে ২টি, খামারকান্দি ইউনিয়নে ২টি, গাড়ীদহ ইউনিয়নে ৪টি এবং আরও ৩টি হবে শাহবন্দেগী ইউনিয়নে। 

দুর্গাপূজাকে ঘিরে ইতিমধ্যে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার পৌর শহরের একাধিক মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরীর কাজে ব্যস্ত কারিগররা। মণ্ডপের ভেতরে বাঁশ, কাঠ ও মাটির তৈরী প্রতিমা শোভা পাচ্ছে। যা দেখার জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বী অনেকেই ভিড় করছেন। প্রতিমা তৈরীর কারিগর জয়দেব পাল জানান, মাস খানেক আগে থেকে তিনি প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত ৫-৬ সেট প্রতিমা তৈরী করেছেন। প্রতি সেট দুর্গার সঙ্গে থাকে অসুর, সিংহ, মহিষ, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক ও লক্ষ্মী প্রতিমা। তিনি জানান, আগে একটা প্রতিমা সেট তৈরী করতে খরচ হতো ১৫থেকে ২০হাজার টাকা। কিন্তু এখন বাঁশ, কাঠ, কাদা মাটিসহ প্রতিমা তৈরীর উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় বর্তমানে প্রতি সেট প্রতিমা তৈরীতে খরচ হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। 

শেরপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিমাই ঘোষ জানান, সব প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আইন শৃঙখলা স্বাভাবিক রাখাসহ পূজা মণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।

শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের সবচেয় বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা যাতে সুষ্ঠু ও জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করতে পারেন সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে। এরইমধ্যে পূজা উদযাপন পরিষদ ও বিভিন্ন পূজা মন্ডপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রস্তুতি সভাও করা হয়েছে বলে জানান এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।