বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন বন্ধে নামছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০১৯ ১৫:০২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৩ বার।

বাংলাদেশে দেখানো বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে আইন অনুযায়ী বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে সোমবার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কেবল অপারেটররা যাতে বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য অনুষ্ঠান প্রচার করতে না পারে এবং টেলিভিশনের মালিকদের সংগঠনের নির্ধারণ করে দেওয়া ক্রম অনুযায়ী যেন টিভি চ্যানেল দেখানো হয়, তা নিশ্চিত করতেও ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে

সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এসব জানিয়ে বলেন, “জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আজ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে। যেখানে এই আইন ভঙ্গ হবে সেখানে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশের স্বার্থে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমে স্বার্থে এবং আইনকে সমুন্নত রাখার স্বার্থে আমরা এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।”

মন্ত্রী বলেন, “বিদেশি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করলে, আমরা যে ক্রম ঠিক করে দিয়েছি তা কেবল অপারেটররা অনুসরণ না করলে এবং কেবল অপারেটররা নিজেরা বিজ্ঞাপন বা অনুষ্ঠান প্রদর্শন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনে বিদেশি কোনো চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বা সঞ্চালন করলে লাইসেন্স বাতিল এবং দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্প্রচারের আগে সেসব দেশের পরিবেশকেরা বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপন ছেঁটে শুধু অনুষ্ঠান প্রচার করে।

কিন্তু বাংলাদেশে অনেক দেশি প্রতিষ্ঠান বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করছিল। এতে দেশি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপন হারাচ্ছে অভিযোগ করে সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছিলেন টেলিভিশন মালিকেরা।

এই অবস্থায় গত এপ্রিলে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে দুই কেবল অপারেটর ও পরিবেশক প্রতিষ্ঠান যাদু মিডিয়া ভিশন ও নেশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেডকে বিজ্ঞাপন ছেঁটে বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের নোটিশ দেওয়া হয়। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “ওই দুটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া নোটিশের সময় গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। গত জানুয়ারি মাস থেকে তাদের বলা শুরু করেছি। তারা পাঁচ মাস সময় পেয়েছে, আরও সময় চায়, কিন্তু অনির্দিষ্টকাল সময় দেওয়া তো সম্ভব নয়, সে জন্য আমরা আইন প্রয়োগ করার ব্যবস্থা নিয়েছি।”

এ ছাড়া বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকদের পক্ষ থেকে সম্প্রচারের তারিখ অনুযায়ী টেলিভিশন চ্যানেলের ক্রম ঠিক করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “শুরুতে সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং তারপরে প্রতিষ্ঠার তারিখ অনুযায়ী অন্যান্য বেসরকারি চ্যানেল দেখাতে হবে।”

এসব বিষয় তদারকি করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি বিটিভির প্রতিনিধি এবং তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে হাছান মাহমুদ জানান।

তিনি বলেন, “বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন দেখানো কমেছে, এখনো বিদেশি বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, সেটিও আইনসিদ্ধ নয়। আমরা বাস্তবতার নিরিখে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।… লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে।”