লন্ডনে সেমিনারে পরিবেশ সংরক্ষণে শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী উদ্যোগের প্রশংসা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৭:৪২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৪৭ বার।

 

যুক্তরাজ্যের রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটিতে আয়োজিত পরিবেশ বিষয়ক এক সেমিনারে পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী উদ্যোগের ভূয়সী প্রসংশা করা হয়েছে। সমকাল অনলাইন।

বাংলাদেশ হাইকমিশন, রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি ও ইন্টারন্যালশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইসিসিসিএডি) উদ্যোগে গত সোমবার অনুষ্ঠিত সেমিনারে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

‘ক্লাইমেট চেঞ্জ চ্যালেঞ্জেস, লেসন্স ফ্রম বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্যানেলভুক্ত আলোচকদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য ও পরিবেশ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, আইসিসিসিএডি-এর পরিচালক ড. সালেমুল হক ও যুক্তরাজ্য সরকারের সাবেক প্রধান বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর স্যার ডেবিট কিং।

রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটির পরিচালক প্রফেসর জো স্মিথ এতে সভাপতিত্ব করেন। পরিবেশকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার তিনশ' জন সেমিনারে দর্শকাসারিতে উপস্থিত ছিলেন।

সাইদা মুনা তাসনীম তার বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ সুরক্ষায় শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন ফোরামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এ ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদানের জন্য তাকে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘'চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ' পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশের ভূমিকা খুবই নগণ্য, তারপরও বাংলাদেশই পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবেলায় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে সবার আগে 'ক্লাইমেট ফান্ড' প্রতিষ্ঠা করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি চালু করে বিশ্বে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত বিভিন্ন দেশে সফলভাবে অনুসরণ করার জন্য পরিবেশ সচেতন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান হাইকমিশনার।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ প্রতি বছর চার বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ ক্ষতি যাতে ক্রমান্বয়ে না বাড়ে সে জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিবেশ পরিবর্তনের ঝুঁকিগুলো মোকাবেলা করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করে তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতের ঝুঁকিগুলো মোকাবেলায় প্রস্তুত হওয়া যায়। তবে পরিবেশগত ঝুঁকি কোনো একটি দেশের পক্ষে একা মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এ জন্য সব দেশের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপগুলো ইতোমধ্যে বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে এবং বাংলাদেশকে অন্য দেশের সামনে একটি ‘রোল মডেল‘-এ পরিণত করেছে।

ড. সালেমুল হক পরিবেশ সুরক্ষায় কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের ওপর জোর দিয়ে বলেন, জ্বালানি কোম্পানিসহ যেসব প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি সবচেয়ে বেশি পরিবেশ দূষণ করছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তিনি পরিবেশ সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

ডেভিড কিং বলেন, পরিবেশ পরিবর্তনের কারণে কলকাতা হবে বিশ্বের প্রথম বাসযোগ্যহীন শহর। কাজেই প্রতিবেশী বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরের ঝুঁকি সঙ্গত কারণেই অনেক বেশি। তিনি পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্বনের মাত্রা কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন কার্যকর প্রযুক্তি ও পদ্ধতি প্রয়োগের আহ্বান জানান।